মালদহের মানিকচকের নাজিরপুর পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। এক পড়ুয়া স্কুলের অফিসঘর থেকে কিছু টাকা ড্রয়ার থেকে সরিয়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ। পরে তাকে চাপ দিলে সে প্রথমে ২০ টাকা বের করে দেয়। এরপর জানা যায় সে মাঝে একবার স্কুল থেকে বাড়ি গিয়েছিল। সব মিলিয়ে শিক্ষকদের সন্দেহ হয় সেই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রই চুরি করেছে। তাকে কিছুটা মারধরও করা হয়েছিল বলে অভিভাবকদের দাবি। গত মঙ্গলবারের ঘটনা।
এদিকে ওই ছাত্রকে শাসন করার জন্য স্কুলের শিক্ষিকা ছাত্রকে দুঘা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। এদিকে ছেলেকে মারার কথা জেনে গিয়েছিলেন ছাত্রের অভিভাবকরা। শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায়ের অভিযোগ, এরপরই স্কুলে ঢুকে আমার চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়েছে। নানাভাবে আমায় হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রথমে অভিভাবকরা স্কুলের টিচার ইন চার্জের ঘরে চড়াও হয়েছিলেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলছিলেন দেবপ্রিয়া। তখনই তার উপর চড়াও হন কয়েকজন। চলে মারধর। এর সঙ্গেই চলে হুমকি। ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই শিক্ষিকা। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগও জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
ওই শিক্ষিকা বলেন, আমার চুলের মুঠি ধরে থাপ্পড় মেরেছে। আমাকে থ্রেট দিয়েছে। বলছে চাকরি কেড়ে নেব। আমি বাচ্চাটাকে পিঠে দুঘা দিয়েছিলাম। এটুকু শাসন করার অধিকার তো রয়েছে। তারপরই আমার উপর রাগ। ফোনটা কেড়ে নিতে গিয়েছিল। বাধা দিতে যেতেই ওরা মারধর করল আমায়। ছেলেটা চুরি করেছিল। পরে স্বীকারও করে নেয়।আসলে আমার উপর পুরানো কোনও কারণে রাগ রয়েছে। এদিন সুযোগ পেয়ে মারল।
তবে এক অভিভাবক বলেন, আমি ম্যাডামকে মারিনি। ২০ টাকা নিয়েছিল। ফেরৎও দিয়ে দিয়েছিল। তবে আগে আমার ছেলেকে ওরা মেরেছে। তারপর খবর দিয়েছে। ওদের মারা উচিত হয়নি আমার ছেলেকে।
স্কুলের টিচার ইন চার্জ জানিয়েছেন, ওরা এসেই দিদিমণিকে মারধর করেছে। এটা ঠিক হয়নি।
গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি জানায়। তবে এই মারধরের পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে এভাবে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনাকে মানতে পারছেন না অনেকেই।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup