কেউ বলছেন ‘নরেন্দ্র মোদীর এক পকেটে এনআইএ থাকে, অন্য পকেটে সিবিআই থাকে’। কেউ আবার বলছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'যে ডাকাতদের পুষেছেন, তাদের বুঝিয়ে দিক যে এক-একটাকে বের করে সাজা দেওয়া হবে'। যত সময় যাচ্ছে, তত ভূপতিনগরে এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক রেষারেষি বাড়ছে। তারইমধ্যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) ডিজিকে চিঠি লিখে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ আর্জি জানিয়েছেন যে এনআইএয়ের সুপার ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তিনি এনআইএয়ের সুনাম নষ্ট করছে। সেইসঙ্গে ভূপতিনগর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে আর কী কী ঘটনা ঘটল, সেটার আপডেট দেখে নিন।
মোদীকে আক্রমণ মমতার
সোমবার বাঁকুড়ার সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘আপনার (নরেন্দ্র মোদী) এক পকেটে এনআইএ থাকে, অন্য পকেটে সিবিআই থাকে। এক পকেটে ইডি থাকে তো, অপর পকেটে আয়কর দফতর থাকে। এনআইএ অর সিবিআই, বিজেপি কা ভাই-ভাই। ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স (হল) বিজেপির ফান্ডিং বক্স। এই তো চলছে। তারপর আপনি হুমকি দিচ্ছেন।'
মমতা বলেন, ‘কাকে হুমকি দিচ্ছেন আপনি? আমাদের পাঁচজন ছেলেকে গ্রেফতার করা হলে তাঁদের স্ত্রী রাস্তায় নামবেন। আমাদের এজেন্টকে গ্রেফতার করছেন। যদি জনতার রায় নিয়ে জয়ের হিম্মত থাকে আপনার, তাহলে কেন গ্রেফতার করছেন আমাদের ছেলেদের?’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'রাত তিনটের সময় গিয়ে মহিলাদের উপর হামলা চালায়। আর পাঁচটার সময় পুলিশকে জানাচ্ছে। এটা কি কোনও উপায় নাকি।'
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি দিলীপের
বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মধ্যরাত হোক বা শেষরাত হোক, যখন দরকার হবে, তখন চোরেদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই, এনআইএ যাবে। যারা রাষ্ট্রদ্রোহী, যারা বোমা-বন্দুক নিয়ে দাপাচ্ছে, মানুষকে মারছে, বিদেশের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, তাদের মাটির তলা থেকে খুঁজে বের করবে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার। কেউ বাঁচবে না।’
সঙ্গে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘যদি পুলওয়ামা হতে পারে, যদি বালাকোট হতে পারে, এখানেও তার থেকে বড় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হতে পারে। উনি যে ডাকাতদের পুষেছেন, তাদের বুঝিয়ে দিক যে এক-একটাকে বের করে সাজা দেওয়া হবে।’