সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়েছে। এছাড়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আরও কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদেরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সে কথা ঘোষণাও করেছেন। সুতরাং এই পদক্ষেপ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? স্বাস্থ্যসাথীকে যেমন তিনি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন, তেমনি পঞ্চায়েতের কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতরাজ কর্মচারীদের হেলথ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল। জেলা পরিষদ, মহকুমা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে ফেডারেশনের ৩০ হাজার কর্মী আছেন। পেনশন প্রাপক আছেন ২০ হাজার। তাই ফেডারেশনের অনুরোধ মেনে নিয়ে আমরা ৫০ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্য প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করলাম।’
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে ফেডারেশন। আর এই সিদ্ধান্তে পঞ্চায়েত কর্মীরা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কারণে বড় প্রভাব পড়বে। তাছাড়া রাজ্যজুড়ে আবার করোনাভাইরাস শুরু হয়েছে। আর পঞ্চায়েতের কর্মীদের গ্রামে গিয়েই কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে আরও সুরক্ষিত হলেন তাঁরা। একইসঙ্গে তীব্র গরমে গোটা বাংলা পুড়ছে। তাই কাজ করতে গিয়ে কোনও পঞ্চায়েত কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে এই চিকিৎসা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা পাবেন। এটাকে সবাই মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখছেন। তবে খুশি তৃণমূল কংগ্রেসেও। কারণ স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত কর্মচারী ফেডারেশন।
ঠিক কী বলছেন মানস ভুঁইয়া? একদিকে যখন কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন তখন পঞ্চায়েত কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে পাল্টা জবাব দিলেন। এই বিষয়ে ফেডারেশনের নেতা তথা রাজ্য়ের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘আগের কোনও সরকার এই কর্মীদের নিয়ে ভাবেনি। কিন্তু এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে শতকোটি প্রণাম। অন্য সরকারি কর্মীদের মতো পঞ্চায়েতের কর্মীদেরও স্বাস্থ্যবিধির আওতায় নিয়ে এসে তিনি বড় উপকার করলেন। এই কর্মী দরদী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কর্মচারীদের একাংশ লাগাতার বিষোদ্গার করে চলেছে। যা অত্যন্ত দুঃখের।’