দিনকয়েক আগেই জনসভার মধ্যিখানে ‘ওরা’ প্ল্যাকার্ড তুলে ‘কোলাহল’ করেছিলেন। সেজন্য ‘মনখারাপ’ হয়ে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার সেই ‘ওদের’ দাবি মেনে নিলেন তিনি। জানালেন, প্রতি মাসে ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (ভিআরপি) বা গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের কর্মদিবসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল। তার ফলে তাঁদের মাসিক পারিশ্রমিকও বাড়বে।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এতদিন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা মাসে ২০ দিন কাজ করতেন। দৈনিক ১৭৫ টাকা হিসেবে মাসে সর্বোচ্চ ৩,৫০০ টাকা পেতেন। এবার মাসিক সেই কর্মদিবসের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হচ্ছে। তার ফলে মাসে সর্বোচ্চ ৫,২৫০ টাকা পাবেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। যাঁরা বাড়ি বাড়ি আমজনতার বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের খোঁজ নেন। তারপর তা সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর সেই দাবি নিয়েই বনগাঁয় মমতার জনসভায় হাজির ছিলেন একদল গ্রামীণ সম্পদ কর্মী। মমতার বক্তৃতার মাঝেই প্ল্যাকার্ড তুলে নিজেদের দাবি জানিয়েছিলেন। তাতে ভাষণ থামিয়ে মমতা ‘আক্ষেপ’ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সব চাকরিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ থাকে না। তা সত্ত্বেও যতটা পেরেছেন, ততটা চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক সভার মঞ্চ থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি যে না-পসন্দ, তাও জানিয়েছিলেন মমতা। কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, ‘সারাক্ষণ চাই, চাই, চাই। কত দেব আর! দেওয়ারও তো লিমিট আছে একটা।’ তবে এটাও জানিয়েছিলেন যে সরকারি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কোনও দাবিদাওয়া জানালে তা চিন্তাভাবনা করে দেখবে রাজ্য সরকার।
তারপর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বকাবকি করলেও গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের ভালোবাসেন। তাঁর কথায়, ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (ভিআরপি), ওই মাঝে মাঝেই আমায় প্ল্যাকার্ড দেখায়। মনে রাখবেন, আমি ওদের বকলেও ওদের ভালোবাসি। কয়েকদিন আগে ওদের বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ওদের একটা দাবি ছিল যে ৫,২৫০ টাকা যদি করা হয়। কারণ ওরা যেটা (পারিশ্রমিক) পেত, কারণ ওরা ২০ দিনের একটা পেত। সেটা কম ছিল। এটার জন্য বছরে ১০৫ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু ওদের মাসিক ৫,২৫০ টাকা করে দিলাম। ২০ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন করা হয়েছে।’