রাশভারী প্রশাসনিক সভা চলছে। কাউকে কাউকে ধমক দিচ্ছেন। যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁদের প্রশংসা করতে কুণ্ঠা করছেন না। সেই গুরুগম্ভীর ভার্চুয়াল বৈঠকেই হাসির রোল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দুই পরগণা, হাওড়া, হুগলির প্রশাসিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, নিম্নচাপ নিয়ে প্রস্তুতি, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তারইমধ্যে বারুইপুরের পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খানের খোঁজ করেন মমতা। মজার ছলে প্রশ্ন করেন, ‘প্রোমোশন তো অনেক দেরি আছে, টাইম কি কম দিচ্ছ?’
পুলিশমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে রশিদ মুনির বলেন, ‘পুরো টাইম দিচ্ছি ম্যাম।’ পালটা হাসিমুখেই মমতা বলেন, 'প্রোমোশন এক্ষুণি হয়ে যাবে, আমি বেশিদিন থাকব না, এসব ভেবে টাইম কম দিচ্ছ না তো। সুতরাং আমি বেশিদিন থাকব না। এসব ভেবে টাইম কম দিচ্ছ না তো।'
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান বারুইপুরের পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘না, না ম্যাম। আপনি থাকবেন। আপনি থাকবেন না কেন।’ দাপুটে পুলিশকর্তার সেই উত্তরে হেসে ফেলেন মমতা। বলেন, 'না না, আমি না, মানে তুমি। তোমার প্রমোশন হয়ে যাবে। তুমি এসপি থেকে ডিআইজি হয়ে যাবে। তাই ওই জেলায় বেশিদিন থাকবে না ভেবে তুমি আবার টাইম কম দিচ্ছ না তো!' জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘না, না। টাইম পুরো দিচ্ছি।’
যদিও হাসির ছলে কথা বলার পর পুলিশ সুপারের কাজ নিয়ে খানিকটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার আরও সক্রিয় হলে সেই ঘটনাগুলি ঘটত না।