আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো হাতি, বাঘ-সহ বন্যপ্রাণীর হানায় মৃতদের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দিতে শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে ৪৩৪ জনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হচ্ছে।
বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘২০১৫ সালের ২০২০ সালের (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) রাজ্যে বন্যপ্রাণীর হানায় কমপক্ষে ৫৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম পর্যায় কমপক্ষে ৪৩৪ জনকে হোমগার্ডের চাকরি প্রদান করা হবে।’
রাজ্যে ৭০০ টির বেশি হাতি আছে। বাঘের সংখ্যা প্রায় ১০০। বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে কমপক্ষে ৪৭ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। আর ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং,দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া-সহ ১৪ টি জেলায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আগে হাতির হানায় মৃত্যু হলে পরিবারপিছু ২.৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হত। তবে বিধানসভা ভোটের পাঁচ মাস আগে তথা গত ৬ অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমরা আজ ঠিক করেছি, কেউ যদি হাতির আক্রমণে মারা হারান, যেটা বেশিরভাগটা ঝাড়গ্রামের দিকে হয়। মেদিনীপুরে হয়, পুরুলিয়ায় হয়, বাঁকুড়ায় হয় এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে তাঁদের (পরিবারকে) সাহায্য করা হবে। তাঁদের পরিবারের একজন সদস্যকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলাগুলিতে মূলত হাতি আক্রমণে মৃত্যু হয়, তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় লোকসভা ভোটে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে তৃৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের ভোটব্যাঙ্কে কার্যত ধস নেমেছে। একইভাবে উত্তরবঙ্গেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল তৃণমূল। তাই আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের জমি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।