১০০ দিনের কাজের শ্রমিক নন, ঠিকাদাদের বকেয়া শোধ করায় বেশি বরাদ্দ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রবিবার কাঁথিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের চোরেরা ৮০ শতাংশ ভুয়ো বিল বানিয়ে রেখেছে। সেই সব বিলের বকেয়া লোকসভা ভোটের আগে শোধ করবে রাজ্য সরকার।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মজুরির থেকেও বেশি দেওয়া হবে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। নির্মাণ সামগ্রীর দাম মানে তৃণমূলের চোর গুলো সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮০ ভাগ ভুয়া বিল করে রেখেছে। তারা ৫ লাখ টাকার সামগ্রী সরবরাহ করে থাকলে ২৫ লক্ষ টাকা বিল করেছে। এদেরকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ভোটের আগে পাইয়ে দিয়ে বলবে, তোমরা তো কোনও দিন টাকা পেতে না। তার থেকে ভালো ৫০ শতাংশ টাকা রাখো’।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের কমিটি ভুয়োদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করবে। সেখানে ধরা পড়বে যে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ না করে খাতাপত্রে বিল করেছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানে যে এই প্রতারকগুলো জেলে যাবে ২ চার মাসের মধ্যে। তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে এটাও রেশন, শিক্ষা দুর্নীতির মতো একটা বড় দুর্নীতি হিসাবে উঠে আসবে। তাই লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করার জন্য এখন চোরেদের টাকা দিয়ে দেবে’।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতার আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে ২ দিনের ধরনার শেষ দিয়ে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসের মধ্যে রাজ্যের ২১ লক্ষ ১০০ দিনের কাজের সুবিধভোগীর বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।