পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ উঠেছে, নিয়মভঙ্গ করে প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতারা। তাতে বাধা দিলে মেজাজ হারান বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা। এরপরে তিনি মহকুমা শাসককে ধাক্কাধাক্কি করেন। যদিও ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাহুল সিনহা। তিনি দাবি করেছেন, শুধুমাত্র মহকুমা শাসককে তিনি সরিয়ে দিয়েছেন। তবে একজন সরকারি আধিকারিককে ধাক্কাধাক্কি করায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: BJP কর্মীদের ওপর হামলা হলে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি CBI যাবে: রাহুল সিনহা
আজ শনিবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এই মনোনয়নকে ঘিরে বিজেপি একটি মিছিল বের করে। এরপর দুপুর ১ টা ২০ মিনিট নাগাদ মিছিল প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছয়। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা সহ প্রার্থীর জন্য ৪ প্রস্তাবক ও পুরুলিয়ার ৪ জন বিজেপি বিধায়ক। তারা সকলে মিলে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলেই ঘটে বিপত্তি।
আধিকারিকরা জানিয়ে দেন চার জনের বেশি প্রার্থীর সঙ্গে ঢুকতে পারবে না।তারপরে সরকারি আধিকারিক এবং কর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন রাহুল সিনহা সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা। তা ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের বাধা পেরিয়ে প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেই সময় রাহুল সিনহা মহকুমা শাসক উৎপল কুমার ঘোষকে ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ। পরে মহকুমা শাসক নিজের পরিচয় দেন। তারপরেও তিনি ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের উপরে দায় চাপিয়েছেন রাহুল সিনহা। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ বাধা দেওয়ার ফলেই সেখানে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে তিনি দাবি করেন, এভাবে বাধা দিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। বিজেপির ঝড়ে সবকিছু উড়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, তিনি জানতেন না যে উনি মহকুমা শাসক। তা ছাড়া তিনি ধাক্কাধাক্কি করেননি শুধুমাত্র সরিয়ে দিয়েছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত চার প্রস্তাবককে নিয়েই প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন বিজেপি প্রার্থী। এ বিষয়ে বিজেপির এক নেতা বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। যদি মহকুমা শাসক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।