বঙ্গে হাতির হানায় মৃত্যু অব্যহত। হাতি ফের প্রাণ কেড়ে নিল ব্যক্তির। আজ সকালে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দী এলাকায় এক ব্যক্তিকে শুঁড়ে করে তুলে আছড়ে ফেলে দিয়ে পায়ে করে পিষে দিল হাতি। মৃতের নাম শম্ভূনাথ মণ্ডল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক আলোক মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তাঁরা বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এরপরেই এই ঘটনার জন্য বন দফতরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: শুঁড়ে করে তুলে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে আছড়ে ফেলল হাতি, মৃত্যু হল সবজি বিক্রেতার
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দী গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাতির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। দলে থাকা হাতির বড় অংশকে বনকর্মীরা নিজেদের নজরদারির ঘেরাটোপে রাখলেও দুটি হাতি দলছুট হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আজ মঙ্গলবার ভোরে গোপবান্দীর বাসিন্দা শম্ভূনাথ মণ্ডল ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বের হলে একেবারে দুটি হাতির সামনে পড়ে যান তিনি। এরপরই প্রথমে একটি হাতিটি প্রথমে তাঁকে শুঁড়ে করে তুলে মাটিতে আছাড় মারে। পরে পায়ে করে পিষে দেয়। এরফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বিধায়কের দাবি, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাতি রয়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু, স্থানীয়রা বারবার বন বিভাগের কাছে অনুরোধ করছেন। তা সত্ত্বেও বন দফতর হাতিগুলিকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না। শুধু তাই নয়, চাষিরা ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাতে গেলেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হাতির হানায় মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। যারমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দার্জিলিংয়ে। গত বছরের দার্জিলিংয়ে হাতির হানায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে বিভিন্ন সময় হাতির হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি হাতির হামলায় মৃত্যু ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ।। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এআই প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্যামেরা। এর মাধ্যমে হাতিদের রিয়েল টাইম অবস্থান জানা সম্ভব হবে। তাতে প্রাণহানি রোখা সম্ভব হবে।