মদ খাইয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওঝাকে খুন করলেন তাঁর সঙ্গী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বলাগড়ে। অভিযুক্ত ওঝার ওই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী কারণে এই খুন সেকথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন ওই সঙ্গী।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ অক্টোবর বলাগড়ের ডুমুরদহ ফুলপুকুর এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়। বলাগড় থানার পুলিশ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করলেও প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারেনি। পরে পুলিশ জানতে পারে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সুরেন্দ্র চৌধুরী। তিনি ওঝা ছিলেন। তাঁর বাড়ি নৈহাটির গড়িফায়। ঝাঁড়ফুক, তুকতাক করাই ছিল তাঁর কাজ। খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ ওঝার সঙ্গী লাল্টু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানতে পারে, যেখানে সুরেন্দ্র ঝাঁড়ফুক করতে যেতেন, সেখানেই লাল্টুকে নিয়ে যেতেন। দুজনের মধ্যে খুবই বন্ধুত্ব ছিল। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে লাল্টু খুনের কথা স্বীকারও করে নেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২ অক্টোবর সুরেন্দ্রকে ডুমুরদহ নিয়ে যান লাল্টু। সেখানে দুজনে মদ খান। এরপর সুরেন্দ্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে লাল্টু। খুনের পর সুরেন্দ্রকে নয়ানজুলিতে ভাসিয়ে দেন।
কিন্তু কী কারণে নিজের বন্ধুকে খুন করলেন লাল্টু? এই প্রসঙ্গে লাল্টু জানিয়েছেন, ওঝাগিরি করার জন্য সুরেন্দ্রকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন তিনি। সাপে কাটা, ভূত ছাড়ানো থেকে শুরু করে সব ধরনের ঝাঁড়ফুকের কাজই করতেন সুরেন্দ্র। এইরকম কাজ করতে করতেই লাল্টুর পরিচিত একজনের বাড়িতে ঝাঁড়ফুক করাতে নিয়ে যায় সুরেন্দ্রকে। সেখানে হিতে বিপরীত ঘটে যায়। এতেই বন্ধুর উপর বেজায় চটে যান লাল্টু। সেই রাগের বশেই সুরেন্দ্রকে খ কষেন লাল্টু।