রবিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন করোনাভাইরাস আছে সন্দেহে ভর্তি হওয়া এক রোগী। এরপরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর, কারণ সৌদি আরব থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি ও বিপুল সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার সকালে বেলেঘাটার নাইসেডের রিপোর্টে চিত্র সাফ হল। মৃত জিনারুলের শরীরে করোনাভাইরাস ছিল না, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট নেতিবাচক এসেছে বলে জানিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ।
জিনারুলের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকদেরও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাথা ছিল। কিন্তু এই যুবকের যখন করোনাভাইরাস ছিল না, তখন এটা আশা করা যায় যে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। শনিবারই সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন তিনি। রবিবারই ওই ব্যক্তির সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। তার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় জিনারুলের, যা থেকে আতঙ্ক ছড়ায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় ৫ বছর ধরে সৌদি আরবে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন তিনি। বছর দুয়েক আগে তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। গত বছর একবার বাড়ি এসেছিলেন তিনি। আবার ফিরে যান সৌদি আরবে। সম্প্রতি শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি পেলে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় নিয়োগকারী সংস্থা।
পরিবার জানিয়েছে, শনিবার দমদম বিমানবন্দরে নেমে ধর্মতলায় যান ওই ব্যক্তি। তার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে বাসে ওঠেন। পথেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। রাতে বাড়ি ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তাঁকে সকালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ব্যক্তির শরীরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় এবং তিনি সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফেরায় তাঁকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শুরু হয় চিকিৎসা। এরই মধ্যে ওই ব্যক্তির সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা নাইসেডে পাঠান চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে রবিবার দুপুরে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।