পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে জনসংযোগ বাড়াতে রাজ্যজুড়ে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কর্মসূচিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে নালিশ জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। বিধবা ভাতা, রেশন কার্ড থেকে শুরু করে বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জামালপুরের জৌগ্রামে যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরে নানান অভিযোগ জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেকেই বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না। তাছাড়া দীর্ঘদিন আগে আবেদন করেও রেশন কার্ড পাচ্ছেন না। পাশাপাশি আবাস যোজনা এবং বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল থেকে অনেকে বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন। স্থানীয়দের এই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শোনেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর ভিত্তিতে তিনি স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। পাশাপাশি, বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক অলোক মাঝি ও জেলা পরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার নজরেও আনেন মন্ত্রী। কোন কোন এলাকায় কী কী সমস্যা রয়েছে? তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্তকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জলের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও স্থানীয় বিধায়ক জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রেললাইন রয়েছে ফলে। রেললাইন পেরিয়ে জলের পাইপ লাইন নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
চন্দ্রিমা ছাড়াও সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক স্মিতা বক্সীরা জামালপুরে এসেছিলেন। সেখানে মহিলাদের নিয়ে সভা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। তিনি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সুফল গ্রামবাসীরা পাচ্ছেন কিনা তা সকলকে খোঁজ নিতে হবে। প্রত্যেকের বাড়ি যেতে হবে।’