বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Mithun Chakraborty: কেষ্টর গড়ে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ফাটাকেষ্ট, কেন এলেন না মিঠুন?‌

Mithun Chakraborty: কেষ্টর গড়ে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ফাটাকেষ্ট, কেন এলেন না মিঠুন?‌

কেষ্ট গড়ে প্রথম অনুষ্ঠানেই গরহাজির থাকলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

বোলপুরে রাতেই আসেন মিঠুন চক্রবর্তী–সুকান্ত মজুমদার। তখনই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসে ঠিক হয় বেসরকারি লজে একসঙ্গে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ৯৫তম ‘মন কি বাত’ শোনা হবে। সেটা আবার প্রচারও করে দেওয়া হয়। কিন্তু সকালেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বিজেপি কর্মীরা জড়ো হলেও দেখা মেলেনি মহাগুরুর।

আজ, রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে আসার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। এখানে এসে মানুষের কাছে বার্তা এবং দলীয় কর্মীদের ভোকাল টনিক দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কেষ্ট গড়ে প্রথম অনুষ্ঠানেই গরহাজির থাকলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর তাতেই হতাশ হয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে থেকেই অনেকে প্রশ্ন তুললেন, কেন এলেন না মিঠুন চক্রবর্তী? যদিও তাঁদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখানে আসতে পারেননি মিঠুন। কয়েকজন কর্মী রসিকতা করে গান গেয়েছেন, ‘‌সে তো এল না, এল না। কেন এল না জানি না।’‌

ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে?‌ আজ, রবিবার বোলপুরের কাছারিপট্টির বেসরকারি লজে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে হাজির থাকার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। সেখানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি বলছেন তা শোনার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কেষ্ট গড়ে এলেন না ফাটাকেষ্ট। তিনি আসবেন ভেবে বহু বিজেপি কর্মী সেখানে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দিনের শেষে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। নিজেদের মনে কথা মিঠুনকে জানাতে পারলেন না।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে কী এলেন না মিঠুন?‌ এই প্রশ্ন উঠছে কারণ তাঁকে আসানসোলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে পড়তে হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা ছিল আসানসোলের জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে। সেখানে রণকৌশলের পাঠ দিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে গিয়ে হাজির করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু এই দু’জনের সামনেই যুযুধান গোষ্ঠী তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, আসরে নামতে হয় সুকান্ত–মিঠুনকে। তাতে সরাসরি মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে কর্মীদের বলতে শোনা যায়—‘আপনাকে আর কী শোনাব, বিধানসভা নির্বাচনে পর এখানকার সব জেলা নেতা উধাও হয়ে যান। মাঝখানে থেকে আমরা মার খাচ্ছি। আসলে, এখানকার একাধিক নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছেন।’ সব শুনলেন মিঠুন। আর বিরক্ত হলেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বোলপুরে রাতেই আসেন মিঠুন চক্রবর্তী–সুকান্ত মজুমদার। তখনই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসে ঠিক হয় বেসরকারি লজে একসঙ্গে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ৯৫তম ‘মন কি বাত’ শোনা হবে। সেটা আবার প্রচারও করে দেওয়া হয়। কিন্তু সকালেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বেসরকারি লজের সামনে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হলেও দেখা মেলেনি মহাগুরুর। তাতেই একজন কর্মী গুনগুন করে গান ধরেন—‘‌আজ সবাই এসেছে শুধু তুমি এলে না।’‌

বন্ধ করুন