মুকুল রায় অন্তর্ধান রহস্যের খোলসা হতে না হতেই নতুন করে রহস্য বাড়াল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য। প্রশ্ন তুললেন, শুভ্রাংশুর বাবার প্রতি আচরণ কি পিতার প্রতি পুত্রের যেমন আচরণ হওয়া উচিত তেমন ছিল? এমনকী শুভ্রাংশু মুকুল রায়ের ঠিকমতো দেখভাল করতেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার কেশপুরে সভা শেষে মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, ‘সাংবাদিকরা যখন শুভ্রাংশুবাবুকে প্রশ্ন করেছেন আপনারা কাকে দোষারোপ করবেন? উনি কারও নাম বলতে পারেননি। মুকুল রায় কোথায় চলে গেছেন এর মধ্যে বিজেপি কোথাও নেই।’
এর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, ‘আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, শুভ্রাংশু রায় তাঁর বাবার প্রতি যে রকম আচরণ করত সেটা কি ছেলেসুলভ আচরণ? একজন বৃদ্ধ অসুস্থ মানুষের যে ধরণের দেখভাল হওয়া উচিত সেই ধরণের দেখভাল কি হচ্ছে?’
বলে রাখি, সোমবার বিকেলে দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লিযাত্রা করেন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন ২ জন সহযোগী। জানা যায়, বিধাননগরের বাড়ি থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। বাবা বিমানবন্দরে গিয়েছেন শুনে ছুটতে ছুটতে সেখানে পৌঁছন ছেলে শুভ্রাংশু। পুলিশে বাবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর বিমান থেকে মুকুল রায়কে নামিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। ততক্ষণে বিমান দিল্লির উদ্দেশ্যে পাখা মেলেছে।
দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় মুকুল রায়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, কিছু কাজ আছে তাই দিল্লি এসেছি। যে ক’দিন দরকার হয় থাকব। আমি তো সাংসদ ছিলাম। দিল্লি আসতেই পারি। মঙ্গলবার সকালে বিজেপি নেতা অনুুপম হাজরার একটি ফেসবুক পোস্ট আরও জল্পনা বাড়ায়। তাতে অনুপম লেখেন, ‘প্রত্যাবর্তন’। ওদিকে মুকুল রায়কে অপহরণ করা হয়েছে এই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। দিল্লি পৌঁছেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের দল।