চার কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের পর কি রাজ্যে পুরভোট হবে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেই ইঙ্গিত নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের (দিনহাটা, খড়দহ, গোসাবা এবং শান্তিপুর) ঘোষণা করা হয়েছে। ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২ নভেম্বর। সেই রেশ ধরে শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই চার জেলার মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এখনই পড়বে না। নভেম্বরে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে। বাকি জেলার উপভোক্তারা এখনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে যাবেন। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ইলেকশনগুলো (নির্বাচন) হয়ে গেলে আমাদের আবার অন্যান্য ইলেকশন আছে, সেদিকে আমরা যাব।’
মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। একাংশের বক্তব্য, 'অন্যান্য ইলেকশন' বলতে আদতে পুরভোট বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনিতেই চার কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের পর রাজ্যে সব ভোটই মিটে যাবে। শুধুমাত্র পুরভোট বাকি থাকবে। যা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপির বক্তব্য, পুরভোটের দায়িত্বে তো আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সে বিষয়ে কীভাবে মন্তব্য করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? সিপিআইএমের বক্তব্য, জবরদখল করে পুরসভাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। পুরসভা ভোটের ইঙ্গিত দিয়ে কোনও মহান কাজ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং কেন এতদিন ধরে পুরসভা নির্বাচন করা হয়নি, তা জানিয়ে দিন মমতা।