তৃণমূল পরিচালিত নৈহাটি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগে শহরে পড়ল পোস্টার। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। দুর্নীতির দায় কর্মচারীদের একাংশের ওপর ঠেলে পার পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে তারা।
শনিবার নৈহাটি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা যায় দুর্নীতির অভিযোগে সিপিএমের নামে পোস্টার। তাতে লেখা ‘লুট লুট লুট, পৌরসভা দুর্নীতির আঁতুরঘর হল কী করে বিধায়ক, চেয়ারম্যান জবাব দেও।’
অভিযোগ, নৈহাটি পুরসভার ২টি উৎসব ভবন ২টি পার্ক ভাড়া দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা তছরূপ হয়েছে। ভাড়ার টাকা পৌঁছয়নি পুরসভার কোষাগারে। সম্প্রতি অডিটে উঠে এসেছে এই তথ্য। এর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ৩ জন পুর কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুর্নীতির দায় অস্বীকার করে পুরপ্রধান বলেন, ‘এই দুর্নীতির ব্যাপারে পুরসভা কিছুই জানত না। কারা কী ভাবে টাকা তছরূপ করেছে তা পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলেছি। ভুয়ো বিল কারা বানাল, কারাই বা তাদের মদত দিল তা সবটা সামনে আসা দরকার। পুরবোর্ড এর সঙ্গে যুক্ত হলে আমরা অভিযোগ জানাতে যেতাম না। বিরোধীরা অহেতুক রাজনীতি করছে।’
পালটা সিপিএম নেতা মলয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির আঁতুড় হয়ে উঠেছে নৈহাটি পুরসভা। আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলাম। এবার পুরসভা নিজেরাই স্বীকার করছে দুর্নীতি হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা পথে থাকব।’
বিজেপির দাবি, ‘দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল সমার্থক। বড় নেতাদের দেখে ছোটরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। আর সব জেনেও চুপ করে বসেছিলেন চেয়ারম্যান। তাই তাঁকেও তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন।’