শত দারিদ্রতা সত্ত্বেও নিজেদের লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি সাবির ও ইনজামামুল। একজনের বাবা চা বিক্রি করেন আর অন্যজনের বাবা ফল বিক্রি করেন। বাবাদের কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি পড়াশোনাটা চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ফলও মিলেছে হাতে নাতে। সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশি পরীক্ষা নিটে র্যাঙ্ক করে নিয়েছেন দুজনেই।
মালদহের গাজোলের মসজিদপাড়ার ছেলে ইনজামামুল হক। বাবা আনওয়ারুল হক চা বিক্রি করেন। নিটে ইনজামামুলের প্রাপ্ত নম্বর ৫৮৫। নিটে তাঁর র্যাঙ্ক ১৪ হাজার ২৫০। অন্যদিকে মালদাহের অপর ছেলে সাবির আলির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে। সাবির আলির প্রাপ্ত নম্বর ৬২৬। নিটে তাঁর র্যাঙ্ক ৯৫২৬। দুই ছেলের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে একদিকে যেমন ইনজামামুলকে সংবর্ধনা জানাতে ছুটে আসেন পাড়া বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশীরা, অন্যদিকে সাবিরের এই সাফল্যে খুশি হয়ে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া, কলম, ডায়েরি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় ডিওয়াইএফআইয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, ইনজামামুলের বাবা চা বিক্রি করে সংসার চালিয়েছেন। গত সোমবার নিটের ফল প্রকাশিত হতেই আনন্দের জোয়ার হক পরিবারে। ছেলের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি বাবা–মা। অন্যদিকে সাবিরের বাবা ফল বিক্রি করে সংসার চালান। ছেলের এই সাফল্যে তাঁরাও খুব খুশি। তাঁদের কথায়, তাঁদের এতদিনের এই পরিশ্রম সার্থক হল। উল্লেথ্য, এবারে সর্বভারতীয় এই ডাক্তারি পরীক্ষায় বাঁকুড়ার সোনামুখীর ছেলে সৌম্যদীপ হালদার এই রাজ্যে প্রথম হয়েছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তাঁর র্যাঙ্ক ১৯।