বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলায় সব মিলিয়ে ৩৫টি মণ্ডল। তার মধ্যে ৩৩টি মণ্ডলেই নতুন মুখ এনেছে বিজেপি। মূলত তরুণ প্রজন্মকে তৃণমূলস্তরে ক্ষমতায় এনে ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশল নিচ্ছে বিজেপি। এমনটাই আলোচনা দলের অন্দরে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে চা বলয়ে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে যখন গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি তখনও কিছুটা মান রক্ষা করেছে জলপাইগুড়ি। কিন্তু পুর নির্বাচনে একেবারে ধরাশায়ী অবস্থা।
এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। লোকসভা ভোটও আছে। সেক্ষেত্রে ইতিমধ্য়েই রাজনৈতিক দলগুলি ঘর গোছাতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। দলের একাংশের মতে, তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে দল এগোতে চাইছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমানে সমানে যুঝতে তরুণ প্রজন্মকেই প্রয়োজন। সেকারণেই কম বয়সীদের দায়িত্ব আনা হচ্ছে। তবে অভিজ্ঞরা তাঁদের নানাভাবে সহায়তা করবেন।
তবে এই কৌশলকে ঘিরেও নানা প্রশ্ন উঠছে। অভিজ্ঞদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে কি আদৌ দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? কারণ নতুন প্রজন্মকে সামনে আনার ফলে দলের অন্দরে নানা দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে। এগুলো সামলাবে কে? নবাগতরা কি এই সংকটের দিনে দলকে সামলাতে পারবে?
তবে দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর দাবি, দলকে শক্তিশালী করতেই ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী কর্মীদের মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। লোকসভা ভোটও আমাদের বড় টার্গেট।