ভরাডুবি বোধহয় একেই বলে। গত লোকসভা, কিংবার গত বিধানসভা ভোটে জলপাইগুড়িতে একের পর এক জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। আর পুরভোটে কার্যত ভ্যানিস হওয়ার অবস্থা। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি হল? দল সূত্রে খবর, গত বিধানসভাতেও জলপাইগুড়ি শহরে অন্তত ১৭টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর এবার পুরভোটে বিজেপি নেতারা কেউ পেয়েছেন ১৩৩, কেউ ভোট পেয়েছেন মাত্র ৭৫। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির এক মহিলা প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৮৭টি ভোট। জেলায় বিজেপির চারজন বিধায়ক, একজন এমপি, তারপরেও কেন এই ফলাফল?
এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে একান্তে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, ‘পরাজয়ের কারণ সবটাই দেখা হচ্ছে। তবে মূল কারণ হল সন্ত্রাস। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি সর্বত্র ওরা এটা চালিয়েছে। বুথ দখল করা হয়েছে। ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ড বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছিল।’ এর সঙ্গেই ইভিএমের কারচুপি নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর স্বামীকে মারধর করা হয়েছে এমন নজিরও রয়েছে।’
কিন্তু বার বারই যে প্রশ্নটা বড় করে উঠছে ক্রমেই কি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন বিজেপি নেতৃত্ব? আদৌ কি বছরের সবদিন তাঁদের সাধারণ মানুষের পাশে পাওয়া যাচ্ছে? এব্যাপারে জলপাইগুড়ির সাংসদ বলেন,' আমরা সারাবছর মানুষের পাশে থাকি'। আর সংগঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের পর কোথাও কোথাও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। তবে সেটা বড় সমস্যা হয়নি।’