বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > তৃণমূল–আইএসএফের সংঘর্ষে ভাঙড়ে দেদার বোমাবাজি, রণক্ষেত্র অবস্থা ক্যানিংয়ে

তৃণমূল–আইএসএফের সংঘর্ষে ভাঙড়ে দেদার বোমাবাজি, রণক্ষেত্র অবস্থা ক্যানিংয়ে

সামাল দিতে নাজেহাল হচ্ছে পুলিশ।

গণ্ডগোলের জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ভাঙড়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই তেতে উঠল ক্যানিং। এখানে অবশ্য তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলের লড়াইয়ে কেঁপে ওঠে এলাকা। ক্যানিং–বারুইপুর রোড অবরোধ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শৈবাল লাহিড়ী পথ অবরোধে নেতৃত্ব দেন। বাসন্তী হাইওয়েতে দু’‌পক্ষের সংঘর্ষে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন তেতে উঠল ভাঙড়। তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাঙড়ের মাটি। আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন জেলায় জেলায় চলছে মনোনয়নপত্র জমা। আর আজ, বুধবার সেটাকে ঘিরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাঙড়। আইএসএফ–তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে এখানে দেদার বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। এমনকী লাঠি–বাঁশ–ইট নিয়ে দু’‌দলকে আক্রমণের মেজাজে নেমে পড়তে দেখা গিয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই ভাঙড়ের মাটিতে নেমে পড়েছেন দু’‌দলের কর্মী– সমর্থকরা। আর তা সামাল দিতে নাজেহাল হচ্ছে পুলিশ।

এদিকে বুধবার ভাঙড় এক নম্বর ব্লকে আইএসএফ–এর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। সকালেই এখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। লাঠি দিয়ে মারধরের জেরে ঝরে রক্ত বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে চলে দেদার বোমাবাজি। বাসন্তী বিডিও অফিসের সামনে বাঁশ, লাঠি একদল যুবককে দেখা যায়। অভিযোগ, নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আইএসএফ কর্মীরা বাসন্তী হাইওয়ের ওপর বোমাবাজি করে। আইএসএফের অভিযোগ, তাদের উপর আগে হামলা করা হয়েছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, সংবাদমাধ্যমের কাছে সব ফুটেজ আছে। আইএসএফ মিথ্যে কথা বলছে।

অন্যদিকে ভাঙরে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনয়নপত্র জমা করতে যাওয়া কর্মীদের উপর আইএসএফের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই হামলার জেরে মাথা ফাটল এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকী নারায়ণপুর অঞ্চলে আইএসএফের হাতে আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী– সমর্থকরা। এই সংঘর্ষের পাশাপাশি চলতে থাকে অকথ্য গালিগালাজ। ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তারপরও রীতিমতো শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন দিতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, আইএসএফ বাধা দিলে প্রতিরোধ করতেই এভাবে আসতে হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গণ্ডগোলের জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই তেতে উঠল ক্যানিং। এখানে অবশ্য তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলের লড়াইয়ে কেঁপে ওঠে এলাকা। ক্যানিং–বারুইপুর রোড অবরোধ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শৈবাল লাহিড়ী পথ অবরোধে নেতৃত্ব দেন। বাসন্তী হাইওয়েতে এই দু’‌পক্ষের সংঘর্ষে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর উপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তিনি এখন ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি। সুনীল হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌যুব তৃণমূল হামলা করতে পারে এই আশঙ্কা ছিলই। তাই পথ অবরোধ করা হয়। পরে যখন মনোনয়ন জমা করতে যাচ্ছিলাম তখন আমার পায়ে গুলি লাগে।’‌ এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাঠ। বুধবার ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটি পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

বন্ধ করুন