ডোরিনা ক্রসিং থেকে কার্জন পার্ক হয়ে রানি রাসমণি অ্যাভেনিউ দিয়ে বাবুঘাট টার্মিনাসে যাচ্ছিল একই রুটের দুটি বাস। তখন হঠাৎ রেষারেষি করতে শুরু করে ২০৫ এবং ২০৫/এ রুটের দুটি বাস। আর তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে মারল ধাক্কা। আর তার জেরে বাস উঠে গেল ফুটপাতে। সেখানে থাকা দোকান গুঁড়িয়ে দিল এই নিয়ন্ত্রণহীন বাস। বাসে কোনও যাত্রী না থাকলেও এই পথ দুর্ঘটনায় সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শহরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবুঘাটের দিকে যাওয়ার সময়ই এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আজ, বুধবার সকালে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ সংলগ্ন ফুটপাতের ডিভাইডারে প্রথমে ধাক্কা মারে বাসটি। তারপর রেলিং ভেঙে অন্য একটি ফুটপাথে উঠে যায়। আর ডোরিনা ক্রসিং থেকে বাবুঘাটগামী বাসটি তখন ওখানে থাকা দোকান পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দেয়। আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়াতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। যাত্রী নামানো হয়ে যাওয়ার পরও কেন রেষারেষি? উত্তর মেলেনি। তার মধ্যে ২০৫ রুটের বাস হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মাঝে ডিভাইডার ভেঙে উল্টো দিকের লেনে উঠে যায়। পাশের তখনই ফুটপাতে দুটি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, ২০৫ নম্বর রুটের দু’টি বাসের মধ্যে গোলমাল চলছিল। সেখান থেকেই একে অন্যকে শিক্ষা দিতে শুরু হয় রেষারেষি। তখন কে আগে যাবে সেটা নিয়ে বচসা বেঁধে যায়। দু’টি বাসই রেষারেষি করে যাচ্ছিল। এমন সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর একটি বাস ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। বাসের গতি এতটাই বেশি ছিল যে সেটি রেলিং ভেঙে অন্য ফুটপাথে উঠে পড়ে। সেখানে থাকা দোকান তখন গুঁড়িয়ে যায়। দোকানে কেউ না থাকায় এবং বাসের সমস্ত যাত্রী আগেই নেমে যাওয়ায় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর বাস মাঝ রাস্তায় ফেলে পালায় চালক এবং খালাসি। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ বাস আটক করেছে। চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কেউ হতাহত হননি। তবে ফুটপাথ, রেলিং এবং বাসের ভালই ক্ষতি হয়েছে। রাস্তারও একাংশ ভেঙে গিয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ বাসটিকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। রেষারেষি করা আর একটি বাসও পলাতক। বাঁশদ্রোণী থেকে বাবুঘাটমুখী দুটি বাস নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কে বা কারা এই পথ দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।