৫ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দিলদার শেখ। পাঁচবছর পর আরও এক পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই আবহে দিলদারের দুই বিধবা স্ত্রী নেমেছেন ভোট প্রচারে। তবে দুই সতীন বিরোধী শিবিরে। দিলদারের এক স্ত্রীকে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরের হয়ে প্রচারে। অপরজন আছেন বিজেপিতে। এদিকে সিউড়ির কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটপ্রচারে দুই শিবিরেরই ইস্যু দিলদার। দুই শিবিরেরই দাবি, তাদের সঙ্গে থাকা মহিলাই দিলদারের ‘আসল স্ত্রী’।
বৃহস্পতিবার বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহাকে নিয়ে ব্লক অফিসে হাজির হয়েছিলেন দিলদারের ‘বিধবা স্ত্রী’ ফিরোজা বেগম। তাঁর অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে কোনওভাবে সাহায্য করেনি সরকার। এই আবহে বৃহস্পতিবার সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে এ বিষয়ে নালিশও করেন তিনি। এদিকে শুক্রবারই তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক অফিসে হাজির দিলদারের ‘আসল স্ত্রী’ লুৎফা বিবি। তাঁর দাবি, দিলদারের কোনও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিল না।
এর আগে গতকাল বিডিও অফিসে গিয়ে ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে, ‘আমি দিলদার শেখের বউ। আমি কিছুই পাইনি। আবাস যোজনার বাড়িও পাইনি। আমাদের বাড়িতে একটা বাথরুমও নেই।’ এদিকে দিলদারের মৃত্যুর পর সরকারি সাহায্য পয়েছিলেন লুৎফা বিবি। জেলা পরিষদে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে নিয়োগও করা হয়েছিল তাঁকে। লুফৎার অভিযোগ, ফিরোজা বেগম নামে ওই মহিলাকে দ্বিতীয় স্ত্রী সাজিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে এসেছিল বিজেপি।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে লুৎফার অভিযোগ, ‘ফিরোজা নামক ওই মহিলা যা বলেছে সবটাই ভুল। আমিই দিলদারের একমাত্র স্ত্রী। তবে ও কেন এখন নিজেকে দিলদারের স্ত্রী বলে দাবি করছে তা আমার জানা নেই। দিলদারের মৃত্যুর সময়েও তো সবাই দেখছিল আমি ওর স্ত্রী। আজ পাঁচ বছর পর এই কথা কেন উঠল? ও বিজেপির উস্কানিতে এসেছে। পয়সা দিয়েছে তাই এসেছে। ভুল বুঝিয়ে নিয়ে এসেছে। আমরা দিদির পাশে ছিলাম, আগামীতেও দিদির পাশেই থাকব।’