মৃত করোনা আক্রান্ত এক রোগীর বিল মেটানো নিয়ে বচসার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পাঁশকুড়ার বেসরকারি হাসপাতাল চত্বর। ভাঙচুর করা হল হাসপাতাল। আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত রোগীর আত্মীয়রা চড়াও হন হাসপাতালে। ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠে মৃতের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধ। শুধু তাই নয়, রেগীর পরিবার চড়াও হন চিকিৎসকদের উপরও। তাঁদের ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, গত ৬ দিন ধরে ওই হাসপাতালে স্থানীয় এক করোনা আক্রান্ত রোগী ভরতি ছিলেন। শুক্রবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। পরে রোগীর আত্মীরা দেহ নিতে এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিল না মেটালে, রোগীর দেহ ছাড়া হবে না। হাসপাতালের অভিযোগ, ওই রোগীর পরিবার বিল মেটাতে না চাইলে, তাঁদের বলা হয় যে, দেহ ছাড়া হবে না। এরপরই মারমুখী হয়ে ওঠেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। দেদার ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে। সেখানকার এক চিকিৎসক ভাস্কর রায় ঘটনা সামাল দিতে এলে, তাঁকে ধরে বেধড়ক পেটায় মৃত রোগীর আত্মীয়েরা। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মূল গেট বন্ধ করে দেন। জানিয়ে দেওয়া হয় আর কারোর চিকিৎসা হবে না। ফলে, হয়রানির শিকার হন ভরতি হতে আসা অন্যান্য রোগীর পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামতে হয় পাঁশকুড়ার বিডিও অফিসারকে। তিনি এসে সুপারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।