মহিলাকে ধর্ষণ করার মামলায় আর্থির প্রতারণায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত স্বস্তির হাসি হাসলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতা নিজের আগের বয়ান থেকে সরে এসে জানিয়ে দেন, জয়চাঁদ আগরওয়াল ও জন বারলার বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। এর আগে নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে শারীরিক নিগ্রহের মামলায় জামিন পান বানারহাটের ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়াল। এদিন আদালতে নির্যাতিতা জানান যে জন বারলার বিরুদ্ধেও তাঁর কোনও অভিযোগ নেই।
এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, 'সাংসদ জন বারলার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি কোনও এফআইআর করিনি। আমাকে রাজনীতিতে জড়ানো হচ্ছে। আমাকে মহড়া বানানো হয়েছে।' এর আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বারলার দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছিলেন, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
গত ২৮ জুলাই বানারহাটের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নির্যাতিতা মহিলা প্রথম যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময় তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, সাংসদ জন বারলার কাছে ন্যায় চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহযোগিতা চেয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। সাংসদ ও তাঁর সহযোগী অডিপ ভুজেল, সঞ্জয় চৌধুরীরা আর্থিক প্রতারণা করেছেন, এই দাবিতে বানারহাট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তখন নির্যাতিতা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ২৮ জুলাই ওই মহিলার অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার করা হয় বানারহাটের অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালকে। অভিযোগ ছিল ওই ব্যবসায়ী একাধিকবার অভিযোগকারিণীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। তবে এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁর আগের অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন সেই নির্যাতিতা।
এ দিন আদালতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওই মহিলা জানান, 'জয়চাঁদ আগরওয়াল আমাকে মেয়ের মতো মানুষ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। তাঁকে আদালত জামিন দিলে আমার কোনও আপত্তি নেই বলে আমি জানিয়ে দিয়েছি। জন বারলাও আমাকে সাহায্য করেছেন বিভিন্ন সময়ে। আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে অভিযোগ আনা হয়, আমি জানতামই না এত কিছু হবে। আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। জন বারলা কোনও আর্থিক প্রতারণা করেননি। আমাকে জন বারলা সাহায্য করেছেন।'