ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার দাদা নরেন কান্দুকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার বিকেলে এই ঘটনায় নরেন কান্দুকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েজন যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাদের খোঁজে ভিনরাজ্যে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সিটের তদন্তে অখুশি তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিদেবী CBI তদন্তের দাবিতে অনড়।
পুলিশের দাবি, পুর নির্বাচনে তপন কান্দুর কাছে ছেলের পরাজয় মেনে নিতে পারেননি নরেন কান্দু। তাই ভাইকে খুনের চাক্রান্ত করেন তিনি। সেজন্য যোগাযোগ করেন আশিক খানের সঙ্গে। ধূপ ব্যবসায়ী আশিক খান ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতী কলেবর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পর কলেবর সিং আরও ২ দুষ্কৃতীকে নিয়ে ঝালদার কাছে কুটিডি গ্রামে আশিক সিংয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
ঘটনার দিন মোটরসাইকেলে করে এসে নরেন কান্দুকে গুলি করে পালায় ৩ জন। পুলিশের দাবি, এর পর ৩ দিন আশিক খানের বাড়িতেই ছিল তারা। তার পর নিজেদের বাড়ি ফিরে যায়। পরে টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলেবর সিংকে সনাক্ত করেন তদন্তকারীরা। আশিক খানকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া যায় তার ঠিকানা।
যদিও পুলিশের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ তপন কান্দুর স্ত্রী। তাঁর দাবি, এই খুনে যুক্ত ঝালদা থানার আইসি। তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আইসির উপস্থিতিতেই তদন্ত চলছে। ফলে এই তদন্তে তাঁর আস্থা নেই। সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছেন পূর্ণিমাদেবী।