আগেও পুলিশি বাধা মুখে পড়েছেন। ফের পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার হাওড়ায় আসার পথে শুভেন্দুর গাড়ি আটকালো পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন তমলুকের রাধামণি মোড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকায় পুলিশ। এদিন বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এসে গাড়ি আটকানো হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রতিবাদ করে ওঠেন। তিনি পুলিশ কর্তাদের জানান, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে মারপিট করব নাকি। জীবনে কখনও করিনি। আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করব না। আমি আইন মেনেই চলি। আমার গাড়ি আটকাবেন না। আমি যদি গাড়ি থেকে নামি, তাহলে অবশ্যই আমাকে আটকাবেন। কিন্তু আমি কলকাতায় যাব নাকি হলদিয়া যাব, নাকি কোলাঘাটে যাব, সেই কৈফিয়েত দিতে হবে নাকি। আপনি ডিজিকে জানিয়ে দিন, আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করব না।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘১৪৪ ধারা জারি আছে বলে কী জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে নাকি। পুলিশের লোক যাতায়াত করছে, সংবাদমাধ্যম যাতায়াত করছে। অসুবিধা কোথায়। পাঁচ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যায় না। আমি আইন জানি।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি পুরো বিষয়টি মুখ্য সচিবকে জানিয়েছি। রাজ্যপালকে জানিয়েছি। কাল আমি সকাল ১০টার সময় হাইকোর্টে যাব।’ উল্লেখ্য, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত হয়ে গোটা দেশ। আঁচ এসে পড়ে এই রাজ্যেও। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখায়। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হয়। হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় ঘর বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। নেট পরিষেবাও কিছু জায়গায় বন্ধ রাখা হয়।