নামেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, অথচ পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকেন না, আবার ওয়ার্ডগুলিও রয়েছে অপরিচ্ছন্ন। এমনই অবস্থা সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বীরভূমের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি। এই অবস্থায় হাসপাতালের পরিস্থিতি বদলানোর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলেন জেলা শাসক। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে হাসপাতালের পরিস্থিতি বদল করতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। তারপরেও হাসপাতালের অবস্থার বদল না হলে প্রয়োজনে শোকজ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা শাসক।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ভবনের সমীক্ষায় কলকাতাকে টপকে পরিষেবায় এগিয়ে জেলার হাসপাতাল
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি চিকিৎসকদের রোস্টার খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি ওয়ার্ডগুলিতে পরিচ্ছন্নতার অভাব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে প্রতিমাসে কত রোগী আসেন? বহির্বিভাগে কত রোগী আসেন? কত রোগী রেফার করা হয়? ঠিকমতো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কিনা? সেই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখেন জেলা শাসক। এরপর রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়। সেখানে হাসপাতালে পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পূর্ণেন্দু মাজি।
শুধু হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতায় নয়, চিকিৎসকদের অনিয়মিত উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা শাসক। এই অবস্থায় আগামী ১০ মার্চের মধ্যে হাসপাতালের পরিস্থিতি ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জেলা শাসক জানিয়েছেন, ১০ মার্চের পরে তিনি আবার হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের পরিস্থিতি ঠিক না হলে প্রয়োজনে শোকজ করা হবে। এছাড়াও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কয়েকদিনের মধ্যে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। সিউড়ির পুর প্রধান এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও মাঝেমধ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন করতে বলেছেন জেলা শাসক। তাছাড়া হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নের বিষয়েও তাদের নজর দিতে বলেছেন। পুরসভার তরফে হাসপাতালে রোগীদের বসার জায়গা, আলোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্মীর অভাবের কথা জানিয়েছেন সুপার। তবে জেলাশাসকের নির্দেশ পালন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।