বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Kaliyaganj: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার ময়না তদন্তের রিপোর্টে কী আছে? এবার হবে ফরেনসিক পরীক্ষা

Kaliyaganj: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার ময়না তদন্তের রিপোর্টে কী আছে? এবার হবে ফরেনসিক পরীক্ষা

কালিয়াগঞ্জ দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে এদিন (ANI Photo) (ANI/best quality as available )

কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সাসপেন্ড করা হয়েছিল চার এএসআইকে। তাদের মধ্য়ে তিনজন কালিয়াগঞ্জ থানার ও একজন রায়গঞ্জ থানার। গত শুক্রবার জনতা যখন দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তখনও সেই দেহ কার্যত রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু। সেই ঘটনাকে ঘিরে দফায় দফায় তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। এদিকে পরিবারের একাংশের দাবি ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে ওই নাবালিকার মৃত্য়ু হয়েছে বিষক্রিয়ার জেরে। কিন্তু কী ধরনের বিষ তা জানার জন্য এবার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে নমুনা।

তবে কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার দেহকে যেভাবে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ সেই ছবি দেখে তীব্র ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই সেই পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তারপরেও ক্ষোভের পারদ নামছে না।

তবে সূত্রের খবর, এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নাবালিকার শরীরে বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। তার মাইক্রো চিপ, নাবালিকার পোশাক, রক্তের নমুনা সংরক্ষিত করা হয়েছে। এদিকে ভিসেরা পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে। ওই নাবালিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গ হয়েছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।

এদিকে কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সাসপেন্ড করা হয়েছিল চার এএসআইকে। তাদের মধ্য়ে তিনজন কালিয়াগঞ্জ থানার ও একজন রায়গঞ্জ থানার। গত শুক্রবার জনতা যখন দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তখনও সেই দেহ কার্যত রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। সেই ছবি দেখে শিউরে ওঠে গোটা বাংলা। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

তবে শনিবার রাতে পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুসারে দেখা গিয়েছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভ থামেনি। বিজেপিও এনিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে।

তবে মঙ্গলবার একেবারে হাতের বাইরে চলে যায় গোটা ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। সেই সময় এলাকায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে উত্তেজিত জনতা। এরপর শুরু হয় ইট বৃষ্টি। তারপর থানা চত্বরে ঢুকে পড়ে উত্তেজিত জনতা।

এরপরই থানা চত্বরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে আতঙ্কে পুুলিশকর্মীরা পালাতে শুরু করেন। একাধিক বাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানায় গিয়ে একেবারে তাণ্ডব চালায় উত্তেজিত জনতা। কার্যত ধ্বংসস্তুপের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুলিশ অসহায়ের মতো তাকিয়ে দেখে গোটা ঘটনা। পরে পুলিশ এসে জল দিয়ে কোনওরকমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

তবে এবার ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে গোটা ঘটনাটি আরও পরিষ্কার হতে পারে।

 

বন্ধ করুন