সামান্য কল নিয়ে ঝামেলা। আর এর জেরেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এদিকে নির্যাতিতা মহিলা স্থানীয় বিজেপি নেতার মেয়ে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর বিজেপি নেতার মেয়েকে গুরুতর অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনায় জখম হয়েছেন বিজেপি নেতার বৃদ্ধ বাবাও। তাঁকেও সেই একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিজেপি বুথ সভাপতি জগন্নাথ দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাদ তাঁর প্রতিবেশী তথা এলাকার তৃণমূল কর্মী রাখাল দাসের। তাঁদের দু’জনের বাড়ির সামনে পুরসভার একটি কল রয়েছে। সেই কল নিয়েই দীর্ঘদিনের ঝামেলা। অভিযোগ, গতকাল বিকালে জগন্নাথের মেয়ের গায়ে জল ছিটানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। জগন্নাথবাবুর অভিযোগ, ‘রাখাল দাসের বউ আমার মেয়ের গায়ে জল দেয়। তার প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা চড়াও হয় আমাদের উপর। ওদের বাড়ির সকলে মিলে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার বাবা ও মেয়ের উপরেও হামলা করে।’
বিজেপি নেতা বলেন, ‘আমার বাবাকে ড্রেনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। সাড়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটেও লাথি মেরেছে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমি বিজেপি করি বলেই আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটল।’ এদিকে জগন্নাথবাবুর জখম মেয়েরও দাবি, ‘বাবা বিজেপি করে বলে ঝামেলা। দাদুকে মেরেছে। আমাকেও পেটে লাথি মেরেছে।’ এদিকে অভিযুক্ত রাখাল স্থানীয় কাউন্সিলর মিনতি ধরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই আবহে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনতে বলেন, ‘যা হয়েছে তা সমর্থন যোগ্য নয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’