২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের প্রার্থী বনাম ২০১৭ সালের টেটের প্রার্থী- সুপ্রিম কোর্টে গড়াল সেই লড়াই। প্রায় ৪,০০০ শূন্যপদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের পরিবর্তে তাঁদের চাকরি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে নতুন করে মামলা করলেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তাঁদের যুক্তি, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের প্রার্থীদের যে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল, সেটার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই প্রায় ৪,০০০ শূন্যপদে চাকরি পাওয়ার যোগ্য নন ২০১৪ সালের টেটপ্রার্থীরা। সেই শূন্যপদে যাতে তাঁদের নিয়োগ করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা।
কিন্তু ২০১৪ সালের টেটপ্রার্থীদের আবার শূন্যপদ কীভাবে আসবে?
সেই উত্তরটার জন্য কয়েক বছর পিছিয়ে যেতে হবে। ২০১৪ সালের টেটের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে প্রাথমিক শিক্ষকের ক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা হল ১৬,৫০০। কিন্তু শেষপর্যন্ত ১২,০০০ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। ৩,৯২৯টি শূন্যপদে কোনও নিয়োগ হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে ওই শূন্যপদ পূরণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের প্রার্থীরা। তাঁরা আর্জি জানিয়েছিলেন যে ওই ৩,৯২৯টি শূন্যপদ যেন পূরণ করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে ৩,৯২৯টি শূন্যপদে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Primary TET Scam: সরকার বলছে শূন্যপদ নেই, ওদিকে ৪ জন মৃত ব্যক্তির নামে পৌঁছল নিয়োগপত্র!
সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাঁরা দাবি করেন, ২০১৪ সালের প্রার্থীদের ওই পদে নিয়োগের যোগ্য নন। সেজন্য তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই মহলের বক্তব্য, যে ৩,৯২৯টি শূন্যপদের কথা বলা হচ্ছে, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল শেষ হয়ে গিয়েছে। যে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেটার ভিত্তিতে ৩,৯২৯টি শূন্যপদ কখনও পূরণ করা যায় না। তাই পুরনো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হোক। প্রকাশ করা হোক নতুন প্যানেল। নিয়োগ করা হোক ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: যাঁরা রাস্তায় তাঁদের কথাও ভাবুন, ছুরির যে প্রান্তে ওঁরা…SSC মামলায় হাইকোর্ট
সেই মামলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে মামলা করেছেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। মঙ্গলবার সেই মামলা দায়ের করেছেন। শীর্ষ আদালতের একটি রায় দেখিয়ে নয়া মামলায় তাঁরা দাবি করেছেন যে ৩,৯২৯টি শূন্যপদে ২০১৪ সালের প্রার্থীদের নিয়োগ করা উচিত নয়। তাঁরা ওই শূন্যপদে নিয়োগের যোগ্য নন। ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ প্রদানের জন্য তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।