রাজ্য সরকার গ্রামের কোয়াক ডাক্তারদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে লাগাতে চাইছে। মাস ছয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, গ্রামের কোয়াক ডাক্তারদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, কিভাবে তাঁদের নিয়োগ করা হবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে তাদের নিয়োগের দাবি প্রতিদিনই তীব্র হচ্ছে। সেইসঙ্গে কি প্রক্রিয়ায় বা কি পদ্ধতিতে তাদের নিয়োগ করা হবে তাও বুঝে উঠতে পারছেন না আধিকারিকরা। আবার ইতিমধ্যেই গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় কোয়াক ডাক্তারদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এই সমস্ত চিকিৎসকদের কিভাবে নিয়োগ করা যায় তানিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। অন্যদিকে, এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তাঁরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমাদের রাজ্যে চিকিৎসক কম রয়েছে। তাই কোয়াক ডাক্তারদের প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে আমরা কাজে লাগাতে চাইছি।’ এখন এই সমস্ত চিকিৎসকদের অনেকের কাছেই বৈধ ডিগ্রী নেই। ফলে তাদের কিভাবে নিয়োগ করা যেতে পারে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি জানানো হয়েছিল এই সমস্ত চিকিৎসকরা শুধুমাত্র রোগ নির্ণয় এবং রেফার করতে পারবেন। এছাড়া, প্রচার করতে পারবেন। তবে কোনও ওষুধ, স্যালাইন, ইনজেকশন দিতে পারবেন না বা সেলাই করতে পারবেন না। তাহলে তারা কিভাবে কাজ করবেন তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এরইমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে এই সমস্ত ডাক্তারদের নিয়োগ নিয়ে দাবি জোরালো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রামীণ চিকিৎসকদের বহু সংগঠন জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের ওপর চাপ তৈরি করছে। পাশাপাশি এ নিয়ে তারা একাধিবার মুখ্যসচিব ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তারই মধ্যে টাকা তোলার অভিযোগ তো রয়েছেই। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ জেলায় নিয়োগের নাম করে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ উঠছে। এনিয়ে গ্রামীণ চিকিৎসকদের সংগঠন সরকারের কাছে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জানিয়েছে।