বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Robbery in Jewellery Shop: পুরুলিয়ায় সোনার দোকান লুটে উদ্ধার CCTV ফুটেজ, ধরা পড়ল ডাকাতদের পালানোর দৃশ্য

Robbery in Jewellery Shop: পুরুলিয়ায় সোনার দোকান লুটে উদ্ধার CCTV ফুটেজ, ধরা পড়ল ডাকাতদের পালানোর দৃশ্য

বাইকে চেপে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা । নিজস্ব ছবি।

বাইকে করে দুষ্কৃতীরা সেনকো গোল্ডের আউটলেটে এসেছিল। এরপর হেলমেট মাথায় দিয়ে ওই সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে বন্দুক দেখিয়ে সমস্ত গহনা লুট করে চম্পট দিয়েছিল। প্রায় ৮ কোটি টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ডাকাতের দল। এমনকী সোনার দোকানের নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখেছিল ডাকাতের ওই দল।

মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে পুরুলিয়া শহরে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। এরই মধ্যেই এই ঘটনায় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই ফুটেজে দুষ্কৃতীদের বাইকে চেপে পালাতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও, দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতিতে যুক্ত বিহারের গ্যাং, জানালেন DIG

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইকে করে দুষ্কৃতীরা সেনকো গোল্ডের আউটলেটে এসেছিল। এরপর হেলমেট মাথায় দিয়ে ওই সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে বন্দুক দেখিয়ে সমস্ত গহনা লুট করে চম্পট দিয়েছিল। প্রায় ৮ কোটি টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ডাকাতের দল। এমনকী সোনার দোকানের নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখেছিল ডাকাতের ওই দল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে। কিন্তু, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুরুলিয়া শহরের ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় নাকা চেকিং বসানো হয়।

উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একাধিক বাইকে চেপে লুট করা সোনার গহনা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ব্যাগ প্রচন্ড ভারী থাকার কারণে রীতিমত বাইক চালককে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে দেখা যায়। পুলিশ জানতে পারে, দুষ্কৃতীরা পালানোর সময় দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। যদিও পুরুলিয়া পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় জানান, ঘটনার বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। খুব দ্রুত এই মামলার কিনারা করা হবে। ঘটনার পর থেকে রীতিমত থমথমে পুরুলিয়ার ওই এলাকা। একইসঙ্গে আতঙ্কে অন্যান্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। 

সোনার আউটলেটের নিরাপত্তারক্ষী জানান, কয়েকদিন আগে দুষ্কৃতীদের মধ্যে দুজন সোনার দোকানে এসে বেশ কয়েকটি গহনা পছন্দ করে গিয়েছিল। এর জন্য তারা ৪ হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়েছিল। এদিন ওই দুজন যুবক আবার আসে এবং তাদের পছন্দ করা সোনার গয়নাগুলি বের করে দিতে বলে। তখনই তাদের মধ্যে এক যুবক জলের বোতল নিয়ে আসার নাম করে বাইরে চলে যায়। পরে তার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবক ঢুকে পড়ে। তাদের প্রত্যেকের হাতেই পিস্তল ছিল। তারা রীতিমতো কর্মীদের বেঁধে রাখে। এমনকী সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নিয়ে নেয়। সব মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তিনি জানান, ওই দুষ্কৃতীরা বাংলা ভাষার পাশাপাশি হিন্দি ভাষাতে কথা বলছিল। নদিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় বিহারের গ্যাং জড়িয়ে রয়েছে। পুরুলিয়ার ক্ষেত্রেও বিহারের গ্যাং জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

বন্ধ করুন