শিয়ালদা-বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের কোচগুলিকে আইসিএফ থেকে লিংক-হফম্যান-বুশ (এলএইচবি) পরিবর্তন করার দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই দাবি মেনেই সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের কোচগুলিকে এলএইচবি কোচে রূপান্তর করা হয়েছে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। তবে ভোটের আবহে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের কোচগুলিকে রূপান্তর নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই পুরনো কোচ ছিল। কিন্তু, ভোটের মধ্যে এই ধরনের কোচ চালু করে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বাড়তি স্টপেজ সরাইঘাট ও তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের, কোন কোন স্টেশনে?
রেল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পূর্ব রেলের তরফে পরিচালনা করা হয়। গত ৫ মে ট্রেনটি এলএইচবি কোচ নিয়ে শিয়ালদা থেকে যাত্রা শুরু করে এবং পরের দিন ৬ মে বামনহাট থেকে এলএইচবি কোচে শিয়ালদার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাতে স্বাভাবিকভাবে খুশি হয়েছেন যাত্রীরা। সাধারণত রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে এলএইচবি কোচ থাকলেও এতদিন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে এলএইচবি কোচ ছিল না। সম্প্রতি পদাতিক এবং নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসে এই ধরনের কোচ লাগানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই কোচগুলি যেমন নিরাপদ তেমনি আরামদায়ক। পাশাপাশি এই কোচগুলিতে যাত্রীও বেশি ধরে। আবার দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়। সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনার পর এই দাবি আরও জোরদার হয়।
এ বিষয়ে তৃণমূলের দিনহাটার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল সবসময় উন্নয়নের পক্ষে। রেলের একাধিক পরিষেবা চালু হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। সেই সময় দেশে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসও তাঁর আমলেই চালু হয়েছিল বলে দাবি করেন দিনহাটার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, ১০ বছর ক্ষমতায় আসার পরেও পুরনো আইসিএফ কোচ পরিবর্তন করতে পারেনি রেল মন্ত্রক। আর এখন ভোট চলাকালীন এই কোচ চালু করে রাজনীতি করতে চাইছে কেন্দ্র।
যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কোচবিহারের বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, বিজেপি কখনই ভোট দেখে উন্নয়ন করে না। যখন যেখানে প্রয়োজন হয় তখন সেখানে উন্নয়ন করে। সেই অনুযায়ী কাজ করে থাকে। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রী থাকাকালীন কী কাজ করেছিলেন তা সব মানুষের জানা আছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের বক্তব্য, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই দিনহাটা স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে নিয়ে এসেছে রেল মন্ত্রক। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এসব দেখতে পারে না।