বাম জমানায় রাস্তার অবস্থা এখনকার থেকে ভাল ছিল। দলীয় সভায় একথা বলে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কোপে পড়লেন দলের এক বুথ সভাপতি। বুধবার বীরভূমে এক দলীয় সভায় এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ক্রুদ্ধ অনুব্রত ওই ব্যক্তিকে বুথ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করেন।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে বীরভূম জেলায় বুথ স্তরে দলীয় সভা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার ছিল তেমনই একটি সভা। তাতে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি বলেন, তাঁদের গ্রামের রাস্তার অবস্থা খুব করুণ। রাস্তার এমনই ভগ্নদশা যে যাতায়াত করতে পারছে না মানুষ। রাস্তার দুপাশে জল জমে রয়েছে। নিজের অস্বস্তিকর অবস্থার কথা জানিয়ে বুথ সভাপতি অনুব্রতকে বলেন, ‘মানুষ জিজ্ঞাসা করছে। রাস্তায় কি মাছ চাষ করবেন?’
দলীয় সভায় বুথ কমিটির সভাপতির মুখে এমন কথা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে যান অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘৯ বছরে এত কাজ করেছি তার পরও বলছেন কাজ হয়নি? আর আমরা তো ক্ষমতায় রয়েছি মাত্র ৯ বছর। এর আগে ৩৪ বছরে কিছু করেননি কেন?’
বুথ সভাপতি জানান, তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। আর বাম জমানায় রাস্তার অবস্থা এর থেকে ভাল ছিল। অন্তত যাতায়াত করা যেত। এই শুনে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন অনুব্রত। বলেন, ‘ওকে বুথ কমিটি থেকে বার করে দেও। এরকম লোককে আমাদের দরকার নেই যে মানুষকে বোঝাতে পারে না।’ অনুব্রতর পরামর্শ, ‘আপনার বলা উচিত ছিল ৯ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শুধু একটা রাস্তার কাজ বাকি রয়েছে।’
দলীয় সভায় জেলা সভাপতির সঙ্গে বুথ সভাপতির এহেন কথপোকথনে সভায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে সভা ছাড়ার সময় নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন অনুব্রতবাবু।
এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রশাসনিক সভায় গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ফের চালু করার দাবি তোলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদ্রূপের মুখে পড়েছিলেন গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত। কিছুটা সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল বুধবার।