সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে সবর হয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর প্রতিবাদের জেরে নড়েচড়ে বসল হাসপাতাল প্রশাসন। দালালচক্র নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিধায়কের অভিযোগের পর ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই দালালচক্রের বিরুদ্ধে রোগীর পরিবারকে সতর্ক করতে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেই পোস্টারে বলা হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য কোথাও কোনও ব্যক্তিকে টাকা দেবেন না। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলা হয়েছে।
কামরাহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, রোগীকে বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ছহাজার টাকা চেয়েছিল এক দালাল। এই খবর মদন মিত্রের কানে যেতেই তিনি দালালচক্রের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
(পড়তে পারেন। দালাল রাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ মদন, অনুপস্থিত থাকায় ফোনেই তোপ সাগর দত্তের অধ্যক্ষকে)
মঙ্গলবার হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে হাসপাতাল সুপারকে ডেপুটেশন জমা দিতে যান বিধায়ক মদন মিত্র। কিন্তু তিনি অফিসে না থাকায় মদন ফোনে জানতে চান কেন তিনি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন? দালালরাজ চলা সত্ত্বেও কেন অধ্যক্ষ থানায় সুয়োমটো ডায়েরি করেননি? তা নিয়ে প্রশ্ন করেন মদন। শুধু তাই নয় তিনি আর বলেন, ‘এনআরএস, আরজিকরে ওসব হয়ে থাকে। ওখানে সব চুড়ি পরে বসে থাকে। তবে এটা কামারহাটি এখানে ওসব হতে দেব না।’
এদিন মদন মিত্রের সঙ্গে ছিলেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। এছাড়াও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে ছিলেন।উল্লেখ্য, মদন যখন অধ্যক্ষকে ফোন করেছিলেন সেই সময় তিনি স্বাস্থ্য ভবনে বিশেষ কাজে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এর পরই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দালাচক্রের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চিকিৎসক সুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।