অবশেষে ধূপগুড়ির সেই যুবকের বিয়ে হল লক্ষ্মীর সঙ্গে। গত সোমবার থেকে ধূপগুড়ি পুরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেমিকাকে বিয়ে করার দাবিতে ধরনায় বসেছিলেন প্রেমিক সঞ্জিত রায়। দীর্ঘক্ষণ ধরনার পর মন গলল প্রেমিকা লক্ষ্মী রায়ের বাবা ঠান্ডু রায়ের। তারপরেই সঞ্জিতের সঙ্গে লক্ষ্মীর চার হাত এক করে দিলেন ঠান্ডু রায়।
সঞ্জিত রায়ের বাড়ি বাঘোরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। তার সঙ্গে ধূপগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবতী লক্ষ্মী রায়ের প্রেমের সম্পর্ক ৬ বছরের। সঞ্জিত রায়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও যুবতীর পরিবার এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেয়নি। সঞ্জিতের সঙ্গে এখনও লক্ষ্মীর মধ্যে কথাবার্তা হয়। সম্প্রতি সঞ্জিতের পরিবার লক্ষ্মীর বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন ঠান্ডু রায়। এরপর অন্য জায়গায় মেয়ের বিয়ে ঠিক করার সিদ্ধান্ত নেন ঠান্ডু রায়। তারপরেই বেঁকে বসেন সঞ্জিত। লক্ষীকে বিয়ে করার দাবিতে সোমবার দুপুরে ঠান্ডুএ বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন সঞ্জিত। লক্ষীর বাড়ির লোকেরা সঞ্জিতকে ধরনা থেকে উঠে যেতে বললেও তিনি কার্যত নিজের দাবিতে অনড় থাকেন। বিকেলে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও লক্ষ্মীর ছবি বুকে লাগিয়ে ধরনায় বসে থাকেন সঞ্জিত। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে সেই বৈঠকেও বিয়েতে আপত্তি জানান লক্ষ্মীর বাবা। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়ের দাবি মেনে নেন লক্ষ্মীর বাবা।
রাতেই দুজনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। রাতে পাত্র-পাত্রীর মালাবদল হয়। এদিন সঞ্জিতের বিয়েকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের মধ্যে কৌতুহল ছিল তুঙ্গে। ফলে তাদের বিয়েতে মানুষের শয়ে শয়ে ভিড় দেখা যায়। ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পেয়ে খুশি নবদম্পতি।