আজ সরস্বতী পুজো। বাড়িতে পুজোর তোড়জোড়, আবার বাড়ির পুজো শেষে সেজেগুজে বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, আনন্দ করা— এ সবই সরস্বতী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। যাঁরা শাড়ি পরেন না, তাঁরাও পুজোর একটি দিনে শাড়িতেই সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন নিজেকে। সেরা শাড়ি, সেরা সাজের প্রস্তুতি চলতে থাকে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই, তা সত্ত্বেও কিছু না কিছু বাদ পড়েই যায়। তাই পুজোর কয়েক ঘণ্টা আগে জেনে নিন সরস্বতী পুজোয় কীভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারেন। দেখে নিন কিছু বাদ পড়েনি তো!
১. শাড়ি- সরস্বতী পুজোর দিনে শাড়িই হল অল টাইম ফেভারিট। সময় পরিবর্তন হলেও, শাড়ির সাজকে মাত দেওয়া যায়, এমন কোনও পোশাকই তেমন নজর কাড়েনি। তাই পুজোর দিনগুলোতে অজান্তেই হাত চলে যায় আলমারিতে পরিপাটি করে সাজানো শাড়ির দিকে। আর সরস্বতী পুজো হলে তো শাড়ির রঙ নির্বাচনেও কোনও দ্বিমত থাকে না। হলুদ শাড়িটিই তখন প্রথম পছন্দের। বসন্ত পঞ্চমীর তিথিতে সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই বসন্তের আগমন। তাই হলুদ শাড়ি মাস্ট। অনেকেই ভারী শাড়ি পরতে অনিচ্ছুক। তাঁরা হলুদ সুতি, খাদি, লিনেন পরতে পারেন। সঙ্গে বিপরীত রঙের স্টাইলিশ ব্লাউজ। সঙ্গে হালকা মেকআপ। আবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে বা রেস্তরাঁয় খেতে গেলে হলুদ সিল্ক শাড়ি আলমারি থেকে বার করে নিতেই পারেন। হলুদ পছন্দ না হলে সাদা শাড়িও পরতে পারেন। চওড়া বা সরু লাল পেড়ে হোক বা ব্রাইট লেমন ইয়েলো পাড়ের, সৌন্দর্য ফুটে উঠবেই। হলুদ বা সাদা না চাইলে অন্যান্য নানান রং তো রয়েছেই।
২. প্যান্ট শাড়ি- এই পোশাকটিও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। যাঁরা শাড়ি পরতে ভালবাসেন, অথচ সামলানোর ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন, এটি তাঁদের প্রথম পছন্দের পোশাক হয়ে উঠতে পারে। মানানসই কোনও প্যান্টের সঙ্গে শাড়ি পরতে পারেন। আবার তা না চাইলে কিনে ফেলতে পারেন প্যান্ট-শাড়ি। আজকাল অনেক দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের প্যান্ট স্টাইল সেট শাড়ি। অল্প ফ্লেয়ারড বা ধুতি প্যান্টের সঙ্গেই সেট করা থাকছে শাড়ির আঁচল। তার সঙ্গে একটা ক্রপ টপ বা ওই প্যান্ট-শাড়ির সঙ্গে দেওয়া টপ পরুন। এছাড়াও বেল্ট দিয়ে শাড়ি পরারও চল এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩. লেহেঙ্গা-ডিজাইনার কুর্তি ও গাউন- যাঁরা শাড়ি পছন্দ করেন না তাঁরা এদিনের জন্য উজ্জ্বল হলুদ রঙ বা অন্য কোনও রঙের লেহঙ্গা বেছে নিতে পারেন। মানানসই ক্রপ টপের সঙ্গে এই লেহেঙ্গা বা জমকালো ঘেরওয়ালা স্কার্ট পরতে পারেন।
অন্যদিকে ডিজাইনার কুর্তি বা গাউনও আপনাকে করে তুলতে পারে মোহময়ী। এমনকী এথনিক মিড লেন্থ ড্রেসও পরতে পারেন। আবার হাঁটুর অল্প নীচে পর্যন্ত ঝুলওয়ালা আনারকলি বা কলিদার কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন পালাজোও। অথবা ঘেরওয়ালা গাউনের এক দিকে ওড়না ব্যবহার করেও নিজেকে স্টাইলিশ করে তুলতে পারেন।
৪. সাজগোজ- পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজেই নিজেকে সাজিয়ে তুলুন। সকালের দিকে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির জন্য হালকা মেকআপে জোর দিন। আর রাতের দিকে বেরোনোর পরিকল্পনা থাকলে পছন্দমতো ভারী মেকআপ করতে পারেন। চুল ছেড়ে রাখুন বা খোঁপা করে, সবই আপনার পোশাক ও পছন্দের ভিত্তিতে বেছে নিন। এই বিশেষ দিনটির জন্য চুল কার্লও করাতে পারেন। চুলে লাগাতে পারেন নিজের পছন্দের ফুল।