সম্প্রতি সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে একটি হুমকি চিঠি যায় গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িত। সেই চিঠিতে ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর সেই চিঠি নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শান্তনু। উল্লেখ্য, ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সম্প্রতি একটি চিঠি এসে পৌঁছেছিল মতুয়া মহাসংঘের নেতা তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে। রবিবার রাতে বড়মার ঘর 'দখল' করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরবাড়ি। তার পরদিনই এই হুমকি চিঠি হাতে পান শান্তনু ঠাকুর। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, মমতাবালা ঠাকুরের ঘর 'দখলের ঘটনা' থেকে নজর সরাতেই এই চিঠি। তবে এবার সেই চিঠি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইলেন হিজেপি নেতা নিজে। (আরও পড়ুন: তরুণীকে চুমুর পর এবার পালা যুবকের, বিতর্কে জল ঢালতে 'নয়া কীর্তি' বিজেপির খগেনের)
বিস্তারিত পড়ুন: 'বিধবার যন্ত্রণা…', খুশির দিনে বিষাদের সুর, মতুয়াগড় ছেড়ে কোথায় গেলেন মমতাবালা?
এদিকে শুধুমাত্র মোদী নয়, বিষয়টি নিয়ে নাকি প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও নাকি এই বিষয়ে জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এদিকে তাঁর কাছে আসা চিঠি প্রকাশ করে শান্তনু বলেন, আমার কাছে হুমকি চিঠি এসেছে। আমি সেকথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। সংবাদমাধ্যম দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও জানানোর চেষ্টা করছি। টাইপ রাইটারে বাংলা হরফে টাইপ করা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, দেশে সিএএ লাগু হলে ঠাকুরনদর ঠাকুরবাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। ক্ষতি করা হবে ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের। এর সঙ্গেই শান্তনু বলেন, 'এই ধরনের চিঠি আমার কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয়, কিন্তু একটি সংশয় তো থেকেই যায় এরকম একটি চিঠি এলে। তাই আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি বিষয়টি। কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক দেশে, গণতান্ত্রিক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মতো পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী কোথা থেকে এল? কারা এই হুমকি চিঠি পাঠাল? সেটা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।' (আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে রাজ্য সরকারের পতনের পূর্বাভাস, নির্বাচনে বাংলার ফলাফল নিয়ে বড় দাবি)
আরও পড়ুন: বাংলায় ২ নম্বরে নেমে যাবে তৃণমূল, বলছেন PK, পুরনো বন্ধুকে নিয়ে কী বলছে মমতার দল?
ওদিকে এই চিঠিকে নাটক বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, রবিবার রাতে বড়মার ঘরে ঢোকার জন্য শান্তনু যা করেছে সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব নাটক করছে। কেউ কোনও চিঠি দেয়নি সব বানানো। একই সুর শোনা গিয়েছল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের গলাতেও। এর আগে গত রবিবার রাতে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বাড়ির দরজা ভাঙতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে দেখা গিয়েছিল খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা। এই সবের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করে, ঠাকুরবাড়িতে মন্দিরে জুতো পরেই প্রবেশ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।