একেবারে ভয়াবহ ছবি। টিকা নেওয়ার লাইনে চরম হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জলপাইগুড়ির শালবাড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের দুরামারি এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর এদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ভোর থেকেই স্থানীয় স্কুলের সামনে লাইন দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। প্রচুর মহিলাও এই লাইনে ছিলেন। এদিকে বেলা বাড়তেই আচমকাই স্কুলের গেট খুলে দেওয়া হয়। এরপরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। আদৌ সকলে ভ্যাকসিন পাবেন কি না এই উদ্বেগ থেকেই অনেকে সামনের দিকে আসার চেষ্টা করেন। এরপরই একেবারে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পদপিষ্ট হয়ে যান অনেকেই। প্রচুর মহিলা মাটিতে পড়ে যান। প্রচুর বয়স্ক মানুষও ছিলেন। তাঁদের উপর দিয়েই অন্যরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দুরামারির চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের সামনে ভোর থেকে বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের দেখা মেলেনি। বেলার দিকে তাঁদের কয়েকজনকে দেখা যায়। কিন্তু ততক্ষণে প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। এদিকে স্কুলের গেট খুলতেই চরম হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর অন্তত ২৫জন জখম হয়েছেন এদিনের ঘটনায়। তাঁদের ধূপগুড়ি হাসপাতাল, বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একাধিক মহিলার কানের দুল ছিঁড়ে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। পায়ে, কোমরে সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট পেয়েছেন অনেকেই। ঘটনার খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে যান। মেডিকেল টিমও এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এদিকে করোনা থেকে বাঁচতে গিয়ে এভাবে পদপিষ্ট হতে হবে এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না বাসিন্দারা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, একেবারে নক্ক্যরজনক ঘটনা। চরম অব্যবস্থা চলছে। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।