২০২১ সালের তথ্য বলছে, বছরে ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছেন। পরবর্তী বছরগুলোতে এই সংখ্যা বেড়েছে বই কমেনি। তবে বর্তমানে ভারতে আসার মেডিকেল ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে এক থেকে দেড়মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়কে দুদিনে কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে চিকিৎসা করাতে আসা বাংলাদেশিদের দ্রুত ভিসা দিতে একটি নির্দিষ্ট পোর্টল চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন।
এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমার একটি বৈঠক করেছেন রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে। সেখানে বাংলাদেশিদের মেডিকেল ভিসা দেওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র সভাপতি রূপক বড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'রাজ্য মেডিক্যাল টুরিজমের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ভিসার প্রক্রিয়া যদি সহজ হয় তবে আরও মানুষ রাজ্যে আসতে পারবেন চিকিৎসা করানোর জন্য।'
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পোর্টালটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে ভিসা সংক্রান্ত পোর্টালটি চাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ আগমী বছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের নাগরিকরা এই সুবিধা পাবেন। আবেদন করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা মঞ্জুর হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছে, পোর্টালটিকে রোগীভিত্তিক করাই হল এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে যাতে স্বচ্ছ তথ্য রোগীর পরিবার পান সেদিকে নজর রাখা হবে। একই সঙ্গে এই হাসপাতালগুলির কাজ সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারণা পাবে রোগীর পরিবার।
(পড়তে পারেন। রং-এর গেরোয় আটকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাকা, নবান্নের বারবার আর্জিতে গলছে না বরফ)
পোর্টাল তৈরির কাজের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ে আরও কয়েকটি বৈঠক হবে। পরবর্তী বৈঠক বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রতিনিধিরা থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বৈঠকে মেডিক্যাল ভিসা নিয়েও আলোচনা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং নারায়ণা হাসপাতাল গ্রুপের কর্ণধার ডা. দেবী শেঠি।
চিকিৎসা করাতে আসা বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ পায় পশ্চিমবঙ্গ। এর পর তাঁরা চিকিৎসা করাতে যান তামিলনাড়ু, চেন্নাই ও সিএমসি ভেলোরে। মুম্বই-দিল্লিতে যান ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষ।