‘প্রেমিকাকে’ ভিডিয়ো কল করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যুবক। সেই 'অপরাধের' শাস্তি দিতে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মৃত ওই যুবকের পায়ের সিঁদুর তার মাথায় পরিয়ে দিলেন মৃতের পরিবার! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠের কাটাপুকুর এলাকায়। ঘটনায় ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বর্ধমান থানার পুলিশ। তারপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর মৃত শেখ মান্না ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিল। গত কয়েক মাস আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেষ্টপুর বাগান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫’র ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয় মান্নানের। তার পর সেই বন্ধুত্ব প্রণয়ের সম্পর্কে গড়াতে সময় নেয়নি।
বিষয়টি জানাজানি হতেই মান্নানের বাড়ির লোকেরা মেয়ের বাড়িতে দু’জনের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো কয়েক দিন আগেই মান্নানের বাড়ির লোকজন নাবালিকার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। কিন্তু নাবালিকা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বাড়ি লোকেরা বিয়ের জন্য সময় চেয়ে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই ওই যুবক বহুবার নাবালিকাকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়নি ওই নাবালিকা। সেকারণে রবিবার কিশোরীকে ভিডিও কল করে ওই যুবক। তার পর লাইভেই ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় কাপড় জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় সে।
ঘটনার পরই শোকের ছায়া নেমে আসে গেটা পরিবারে। ক্ষোভ গিয়ে পড়ে নাবালিকার উপর।এদিন ওই নাবালিকা ও তাঁর মাকে বেধড়ক পেটানো হয়। তার পর বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে যুবকের দেহের কাছে নিয়ে আসে মান্নানের বাড়ির লোকেরা। সেখানেই মৃতের আত্মীয়রা মান্নানের পায়ের সিঁদুর নিয়ে নাবালিকার মাথায় পরিয়ে দেয়।