Sujata-Soumitra: সুজাতা কি এখনও ‘খাঁ’ পদবী ব্যবহার করেন? প্রার্থী হওয়ার পরেই মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী

এখন তিনি ‘খাঁ’ পদবী ব্যবহার করেন না। পুরনো অভ্যাসবশতই অনেকে তাঁর সঙ্গে ‘খাঁ’ পদবী জুড়ে দিচ্ছেন। তবে সুজাতার স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি কোনওদিন ‘খাঁ’ পদবী ব্যবহার করেননি। আগামী দিনেও করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, তিনি হলেন সুজাতা মণ্ডল।

একই মঞ্চে সৌমিত্র খাঁ এবং সুজাতা মণ্ডল। (ফাইল ছবি, সৌজন্য ফেসবুক)

এবার লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসনে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লড়াই দেখবে রাজ্যবাসী। বিজেপি সাংসদ তথা দলের এবারের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে সুজাতা মণ্ডলকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই বিভিন্ন সময় ২ নেতা-নেত্রী একে অপরকে আক্রমণ পালটা আক্রমণ করেছেন। আর এবার লোকসভা নির্বাচনে তারা একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছেন। রবিবার ব্রিগেডের ‘জনগর্জন’ সভা থেকে সুজাতা মণ্ডলের নাম ঘোষণার পরে তাঁর পদবী নিয়ে বিভ্রাট দেখা গিয়েছিল। তিনি কি এখনও ‘খাঁ’ পদবী ব্যবহার করেন? তাই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী।

সুজাতা জানিয়েছেন, এখন তিনি ‘খাঁ’ পদবী ব্যবহার করেন না। পুরনো অভ্যাসবশতই অনেকে তাঁর সঙ্গে ‘খাঁ’  পদবী জুড়ে দিচ্ছেন। তবে সুজাতার স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি কোনওদিন ‘খাঁ’  পদবী ব্যবহার করেননি। আগামী দিনেও করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, তিনি হলেন সুজাতা মণ্ডল। একই সঙ্গে তিনি জোর গলায় জানান, ‘খাঁ’  পদবী শুনতে চান না।

সুজাতা মণ্ডল সৌমিত্রকে আক্রমণ করে জানান, তিনি বিজেপি নেতার অহংকারের পতন দেখতে চান। সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্যই সুজাতা কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন। সৌমিত্রকে আক্রমণ করে তিনি আরও জানান, বিজেপি নেতা বিষ্ণুপুরের মানুষকে ঠকিয়েছেন। তাদের পাশে থাকেননি। এবার সেখানকার মানুষই তাঁকে জবাব দেবে।

প্রসঙ্গত, পদবী বিভ্রাট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজাতা মণ্ডলের বোন রঞ্জিতা মণ্ডল নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, সুজতা মণ্ডলের বংশগত পদবী হল ‘মণ্ডল’। কোন উলটোপালটা পদবী যেন তাঁর সঙ্গে জুড়ে না দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুজাতা মণ্ডল। তখন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘তৃণমূল এত বড় চোর। শেষে আমার বউটাকে চুরি করে নিল।’ এদিকে, সুজাতা মণ্ডলকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই সৌমিত্র বলেন, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দাঁড়ালে হয়তো প্রতিযোগিতা হত। তবে এবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে।