আলোর উৎসব দীপাবলি শেষ হয়েছে সদ্য। তার পর পরই অলোকিত হতে চলেছে সুন্দরবনের ঘোড়ামারা গ্রাম। এই সপ্তাহের শেষে দিকেই ঘোড়ামারার প্রতিটা ঘরে জ্বলবে আলো। রাতের বেলা আলোকিত থাকবে বাজার-দোকান। সৌর এবং বায়ু বিদ্যুৎ সাহায্যে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব আলো। ১৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর ও বায়ু প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তহবিলে তৈরি ৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের রূপায়নের দায়িত্ব রয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের বিশেষজ্ঞরা। যারা সৌর বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ এসপি গণ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
গণ চৌধুরীর এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের নক্সা তৈরি করেন এবং প্রকল্পের প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, 'ঘোড়ামারা সুন্দরবনের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। যার একদিকে সাগর দ্বীপ এবং অন্য দিকে কাকদ্বীপ। কেবল নৌকা করেই ওই দ্বীপ পৌঁছনো যায়। প্রায় ৫ হাজার মানুষ বাস করেন ওই দ্বীপে। তাঁদের কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। আলো-পাখা ছাড়াই স্কুল চলে। দ্বীপের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই।'
তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকল্পের প্রথম ধাপ চালু হবে। যার ফলে দ্বীপের সমস্ত ঘরে জ্বলে উঠবে আলো। সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে বাড়ি নিরাপদ পানীয় জলও পৌঁছে দেওয়া হবে। রাতেও রাস্তা-বাজার আলোকিত থাকবে।
গণ চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, এই বিদ্যুৎ ব্যাটারি চালিত গাড়ি চার্জ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। ২৪ ঘণ্টার ফেরি সার্ভিস থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, '১৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে হাত লাগাবেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁদের এ নিয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। চালু হলে, এটি হবে দেশের প্রথম বৃহত্তম মিনি গ্রিড সিস্টেম। '