আদালতের অনুমতিতে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে সভা করে দলত্যাগী বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, হরকালীর মোটা ঋণ শোধ করেছি আমি।
শনিবার সন্ধ্যায় শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এখানে একটি লোককে আপনারা জিতিয়েছিলেন পরিবর্তনের জন্য। ডবল ইঞ্জিনের জন্য। মোদীজির হাতে বাংলাকে তুলে দেওয়ার জন্য। ওই লোকটি নির্বাচনের পরে আমাকে বলল বাজারে প্রচুর ধার। আমি বললাম, আমি মিটিয়ে দিচ্ছি। ৩ মাস ধরে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকার ধার মিটিয়েছি আমার বাড়ি থেকে। ধরবেন তো ওকে? সুদ সহ সব টাকা আদায় করবেন’?
হরকালীকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এই কোতলপুরের মালটি বিক্রি হয়েছে। কেন বিক্রি হয়েছে? বউ কাজ করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। অরূপ চক্রবর্তীর সঙ্গে ওর এক দেড় বছরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। চার বার বউকে ট্রান্সফারের ভয় দেখিয়েছে। আর ট্রান্সফার আটকানোর জন্য কতুলপুরের জনগণের সঙ্গে বেইমানি করে বিধায়ক পদটা রেখে দিয়ে তিনি গেছেন অন্য জায়গায়। সাংবাদিকরা হরকালীকে প্রশ্ন করেন আপনি কোন দলে? বলে, আপনি বুঝে নেন’।
গত ২৬ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা ও মা মাটি মানুষ লেখা উত্তরীয় পরেন বিজেপির টিকিটে জেতা কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। তার পরই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। যদিও বিধায়কপদে ইস্তফা দেননি হরকালী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কোন দলে আছি আপনারা বুঝে নিন।