মহারাষ্ট্রে কৌশলে সরকার ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিহারে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙার কৌশল করা হয়েছে। তবে তার আগে টাকা নিয়ে বাংলাতেই ধরা পড়েছে বিধায়কের দল। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ভেঙে যাবে বলে আবার বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রোজই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের বোমা ফাটান শুভেন্দু। এদিন তাঁর নিশানায় উঠে আসে পুলিশ অফিসারদের একাংশ।
পুলিশ প্রশাসন নিয়ে কী বক্তব্য শুভেন্দুর? এদিন চন্দ্রকোনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘এই সরকারের আমলে কয়লা, বালির সঙ্গে গরু পাচারও একটা বড় কেলেঙ্কারি ছিল। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন গরু বর্ডার দিয়ে পাস করানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে যে গরু পাচার হয়েছে তার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও শাসকদলের কলকাতা–সহ জেলার অনেক নেতাই জড়িত। কেউ পার পাবে না। তবে শুধু নেতারাই নয়, ভারত বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানার ওসি, ইন্সপেক্টর, ডিআইডি, আইজি–দের একটা অংশও গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত।’ তার পরই নির্ধারিত সময়ের আগেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পড়ে যাবে বলে কার্যত ভবিষ্যদ্বাণী করলেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি অত কিছু জানি না। শুধু জানি, ঝাড়খণ্ডে পাল্টাবে। তারপর পশ্চিমবঙ্গও যাবে। মহারাষ্ট্র দিয়ে শুরু হয়েছে। এবারে ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান হবে। এই রাজ্যেও ২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৪ সালেই এই সরকারকে বিসর্জন দেব আমরা।’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে ২০০ পারের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় বিজেপির। তারপর থেকে একের পর এক নির্বাচনে গোহারা হয়েছে বিজেপি। বাংলায় তাঁদের সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বঙ্গ–বিজেপি। তাই বিজেপি নেতাদের মুখে বারবার সরকার ফেলে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ইডি ঢুকিয়ে দেবেন। আর শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, সরকার ফেলে দেবেন। যা রাজনৈতিক লড়াই ইঙ্গিত দেয় না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।