এই প্রথম একেবারে অরাজনৈতিক ব্যানারে খেজুরি দিবস পালন করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। প্রতি বছর যেখানে তৃণমূলের ব্যানারে এই কর্মসূচি হয়ে থাকে এবার তাতে ছেদ পড়ল। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় খেজুরির বাঁশগোড়া থেকে মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় কামারদায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। তবে এদিন কোনও রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করেননি তিনি।
এদিন ফের পুরনো ছন্দে দেখা গেল শুভেন্দুকে। বিপুল পরিমাণ অনুগামীদের নিয়ে তিনি একেবারে মিছিলের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে, ব্যানার ধরে সন্ত্রাস বিরোধী পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন। ২০১০ সালে এলাকা দখলকে ঘিরে সিপিএম এবং তৃণমূলের সঙ্ঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল খেজুরি। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর খেজুরিতে শান্তি ফিরেছিল। সেই স্মৃতিতে প্রতি বছর খেজুরি দিবস পালন করে তৃণমূল। এবার একেবারে অরাজনৈতিক ব্যানারে এই দিন পালন করলেন শুভেন্দু।
এদিকে, এদিন বিকেলে খেজুরিতে এ উপলক্ষে এক কর্মসূচি করার কথা ছিল তৃণমূলের। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে কোনওভাবে ক্ষুব্ধ করতে চাইছেন না। তার জেরেই এই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রাম দিবসের দিন শুভেন্দুর পাল্টা সভা করেছিল তৃণমূল। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন মিছিল শেষে সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘আমি প্রত্যেক বছর ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বরের কথা স্মরণ করাই। তাঁর কারণ, ২০১০–এর আগে খেজুরিতে গণতন্ত্র ছিল না। কৃষক নিজের ধান নিজে তুলতে পারত না। পুকুরে বিষ দেওয়া হত। ঘরছাড়া হতে হয়েছে অনেককে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার সম্মুখীন হতে হয়েছে খেজুরির মানুষকে। প্রচুর মানুষ শহিদ হয়েছেন খেজুরিতে।
তাঁর কথায়, ‘সেদিন ভোররাতে ৩০০ বন্দুকবাজ খেজুরি দখল করেছিল। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে পৌঁছে এলাকা হার্মাদ–মুক্ত করেছিলাম। খেজুরিকে ব্যবহার করে নন্দীগ্রামকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তৎকালীন পুলিশ হার্মাদদের সাহায্য করেছে। খেজুরিতে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি বজায় থাকুক এই প্রার্থনা করি।’