স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। সেই কাজ দেখতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের। মূলত প্রধান শিক্ষকদের কাজ হল পঠন-পাঠন এবং স্কুলের প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলানো। কিন্তু সরকারি এই সমস্ত প্রকল্পের জন্য মূল কাজ করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। এই অবস্থায় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থেকে অব্যাহতি চাইলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দাবি, কন্যাশ্রী,শিক্ষাশ্রী, মিড ডে মিল-সহ স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ১৬ থেকে ১৭ টি প্রকল্প রয়েছে। এখন সেই সমস্ত প্রকল্পের কাজ সামলাতে গিয়ে তাঁরা মূল কাজই করতে পারছেন না। তাই অবলম্বে এই সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফোর হেডমাস্টার্ড এন্ড হেডমিস্ট্রেস। এই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতির অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই কাজ সামলাতে গিয়ে মূল কাজ করতে না পারায় পঠন-পাঠনে সমস্যা হচ্ছে এবং স্কুলের প্রশাসনিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে। এই দাবিতে সম্প্রতি স্কুলশিক্ষা সচিব, কমিশনার, পর্ষদ এবং সাংসদ সভাপতির কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের এই সংগঠন। এছাড়াও মিড ডে মিলের কাজ থেকে অব্যহতি চেয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনারকেউ স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের এই সংগঠন।
মিড ডে মিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চন্দন মাইতি বলেন, সরকারের তরফে যে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে সেই টাকায় গুণগতমানের খাবার পড়ুয়াদের দেওয়া সম্ভব নয়। আবার নিম্নমানের খাবার দিলে অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দায়ী করছেন। তাছাড়া, সরকারি পোর্টালে বেশি পড়ুয়াদের নাম তোলা নিয়েই প্রশাসনিক সমস্যা হচ্ছে। ফলে এইসব সমস্যা সামলাতে গিয়ে তাদের অনেক সময় কেটে যায়। শিক্ষক সংগঠনের দাবি, প্রধান শিক্ষকদের কাজ হল স্কুলে ভর্তির সমস্যা, পড়াশোনা সমস্যা, পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে কিনা তা দেখা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্যা দেখা। কিন্তু এই সমস্ত প্রকল্পের কাজ সামলাতে গিয়ে সেই কাজগুলি তারা করে উঠতে পারছেন না। তাই অবিলম্বে এই প্রকল্পের কাজ থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে হবে।