ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’য়ের বাংলাদেশের উপকূলভাবে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এরফলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে মাইকিং করে প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। এছাড়াও একাধিক নদীতে ২৪ ও ২৫ তারিখে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কালীপুজোর দিন সকাল থেকেই নবান্নে মুখ্যসচিব, প্রশাসনিক কর্তারা
বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখা, হাড়োয়া, হাসনাবাদ, কাকদ্বীপ, ক্যানিং-সহ একাধিক ব্লকে ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে মানুষকে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও, পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের ৯টি ব্লক এলাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বিপর্যয় মোকাবেলা দল, থেকে শুরু করে মেডিক্যাল টিম, বিদ্যুৎ দফতর সহ একাধিক প্রশাসনিক দফতরগুলি।
এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘আমরা এর আগে ফনি, আমফান, ইয়াসের মতো বড় বড় ঝড়ের মোকাবিলা করেছি। আমরা সর্বত ভাবে প্রস্তুত রয়েছি। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরানোর জন্য নির্দেশ আমরা দিয়েই রেখেছি। প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে।’ আনুমানিক দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এদিকে, রবিবার সকাল থেকে সমুদ্র সৈকত দিঘায় বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। যাতে কোনও পর্যটক সমুদ্রের নামতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।