রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের রাজগ্রামে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি নেতা মিঠুন ঘোষ। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে ওঠে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন মিঠুনের মা। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের লোকজন সবসময় শাসাত। বিজেপি করত বলেই আমার ছেলেকে ওরা খুন করেছে। তবে পুলিশ ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় সন্তোষ মোহন্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
পুলিশের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র দেখার সময় আচমকা এক সঙ্গীর হাত থেকে গুলি দুর্ঘটনাবশত ছিটকে মিঠুনের শরীরে লাগে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো ব্যাপার প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, 'যখন মিঠুনকে জখম অবস্থায় টোটো করে তার কাকাতো ভাই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি দুজনের নাম বলেছিলেন। তাদের নাম সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মোহন্ত। তারা গুলি করেছিল বলে তিনি বলেছিলেন। দুজনই ওর পরিচিত। সন্তোষ মোহান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে জানা গিয়েছে, আগের দিন রাতে তিনজন হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেছিল। এরপর মিঠুন বাড়ি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে দুজনকে দেখায়। সেই সময় সুকুমার ঘোষের হাতে থাকা বন্দুক থেকে আচমকা গুলি বেরিয়ে মিঠুনের শরীরে লাগে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে।'