পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেলা হবে না। তবে ভোটে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। না খেলেই তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতবে। একুশের নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগান ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। সেখানে এবার খেলা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান তথা যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে আসল খেলা হবে লোকসভা নির্বাচনে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর–২ ব্লকের বরোজ ও অর্জুননগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত হরিণাবাড়িতে জনসভায় এমন কথাই জানালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
ঠিক কী বলেছেন দেবাংশু? নানা ইস্যুতেই তিনি টুইট করে অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে টিপ্পনি কাটেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভগবানপুরে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। ছাপ্পা ভোট করে বিজেপি এই আসন দখল করেছে। বিজেপিকে হারাতে উন্নয়নই হাতিয়ার হবে। এখানকার বিজেপির ছাপ্পা বিধায়ক ভাবছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার এভাবেই হারাবে। তাই এখন আবার গুন্ডা নিয়ে সন্ত্রাস করছে। কিন্তু উল্টোদিকে টিমই নেই পঞ্চায়েতে। খেলব কার সঙ্গে? তৃণমূল একাই মাঠে। লোকসভাতে খেলা হবে। মেদিনীপুরে কাঁথি ও তমলুকে যে দু’টো উইকেট আছে, সেগুলি ফেলতে হবে। কারণ, এখানকার দুই সাংসদ নিজেরাই জানেন না তাঁরা কোন দল করেন। পঞ্চায়েতে খেলার গল্প নেই। এখানে আরও বেশি করে মানুষের উন্নয়ন পৌঁছে দিন।’
আর কী বলেছেন দেবাংশু? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য একাধিক সামাজিক প্রকল্প এনেছেন। আর নিজের সরকারকে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়েই এদিন দেবাংশু বলেন, ‘বাংলার মানুষের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প এনেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ‘দুয়ারে সরকার’ হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের মহিলারা। আর রোজই গ্যাসের দাম বাড়ছে। পেট্রোল–ডিজেলের দামও আকাশছোঁয়া। ভোট এলে নানা প্রতিশ্রুতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ভোট ফুরোলে সেই প্রতিশ্রুতিও উধাও।’
খেলা থামবে ঠিক কবে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেলা হবে না। কারণ এবার প্রচারের ইস্যু উন্নয়ন। যা বিরোধীদের হাতে নেই। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে খেলা হবে। এই বিষয়ে দেবাংশু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে যারা কালি ছেটাতে আসবে, তারাই কালো হয়ে যাবে। ২২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে খেলা হবে। হাওয়াই চপ্পল পরা ওই মহিলাকে দিল্লি পাঠাতে হবে। তারপরই খেলা থামবে।’ তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও বেশি করে সরকারি প্রকল্পের প্রচারেই জোর দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।